দীর্ঘ ছয় বছরেরও বেশী সময় ধরে চলমান রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহায়তা নিম্নমুখী এবং এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলে এই বৈশ্বিক সংকটটির গুরুত্ব কমে আসার প্রবনতা দেখা যাচ্ছে। মানবিক বিবেচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছিলেন। সেই মহানুভবতার কথা বিবেচনায় না নিয়ে, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে কার্যকরী ব্যবস্থা
মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশগুলোর ভুমিকা ও বাংলাদেশের অবস্থান : গত ৫ সেপ্টেম্বর, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত ৪৩ তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে মিয়ানমার বিষয়ক পাঁচ দফা ঐকমত্য বাস্তবায়নের বিষয়ে আসিয়ান নেতারা পর্যালোচনা করে কিছু সুপারিশ প্রণয়ন করে। তাঁরা মিয়ানমারে ক্রমাগত সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানায় এবং এই সংকট জনগণের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী দুর্ভোগ,
মিয়ানমারে চলমান সহিংসতা বন্ধ হওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না বরং দিন দিন তা আরও সংগঠিত ও জোরদার হচ্ছে। মিয়ানমারের জান্তা বিরোধী জাতীয় ঐক্যের সরকারের (এন ইউ জি) সভাপতি দুওয়া লাশি লা জানায় যে, জান্তার বিরুদ্ধে লড়াইরত আধাসামরিক বাহিনী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। পি ডি এফ
রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের একটা চলমান গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা সংকট ছয় বছর পূর্ণ হয়ে সাত বছরে পড়েছে। গত এক বছরে এই সংকট সমাধানে বেশ কিছু উদ্যোগ ও অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এখনও আলোর মুখ দেখেনি। গত বছর ২৮ আগস্ট মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্ত অঞ্চলে আরাকান আর্মির (এ
মিয়ানমারে চলমান সংঘাত বন্ধ করে শান্তি ফেরাতে আঞ্চলিক জোট আসিয়ান তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। মিয়ানমারকে নিয়ে আসিয়ানে যে বিভক্তি দেখা দিয়েছিল তা দূর করে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা করতে আসিয়ান সক্রিয়ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আসিয়ান মিয়ানমার সংকট রাজনৈতিকভাবে সমাধানের পক্ষে তাদের মত ব্যক্ত করেছে। ১২ জুলাই আসিয়ানের সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে ইন্দোনেশিয়ার
আরব বিশ্বের সবচেয়ে গরীব দেশ ইয়েমেন। বহু বছর ধরে চলমান গৃহযুদ্ধে দেশটি পুরোপুরি বিপর্যস্ত। জাতিসংঘের মতে ইয়েমেনের পরিস্থিতি বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব-সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয়। বর্তমানে ইয়েমেনের ৭৫ শতাংশ মানুষের জরুরী মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। অন্তত সোয়া কোটি মানুষের বেঁচে থাকার জন্য জরুরী খাদ্য সহায়তা দরকার। প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষ খাদ্য
জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদেশগুলো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের উদ্যোগে মিয়ানমারের নেয়া পাইলট প্রকল্পের বিরোধিতা করে, মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতিতে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর বিরুদ্ধে তাদের মত ব্যক্ত করেছে। তারা মনে করে মিয়ানমারের পরিবেশ এখনও প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল নয়। পাইলট প্রকল্পের কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা না গেলেও এর পরপরই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন দাতাদেশ ও
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে চ্যালেঞ্জ ও চলমান কার্যক্রম রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো দিন দিন অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। সেখানে প্রতিনিয়ত হত্যা, মানব পাচার, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, গুম, অপহরণ ও মুক্তিপন দাবী এবং অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে। এসব কারনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও সশস্ত্র হামলার ঘটনাগুলো নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চলমান
মিয়ানমার থেকে সহিংস হামলার শিকার হয়ে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা গত ছয় বছর ধরে বাংলাদেশের ক্যাম্পগুলোতে হতাশার মধ্যে বসবাস করছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও স্থানীয় রাখাইনদের বর্বরতা ও নির্মমতা তারা প্রত্যক্ষ করেছে। তাদের মনে সেই আতঙ্ক, ভয়াবহতা, নৃশংসতা ও নির্যাতনের স্মৃতি জীবন্ত।তাদের অনেকেই এখন বয়ঃপ্রাপ্ত হয়েছে, এখন তাদের আয় করার সময়
জাতিসংঘের ম্যান্ডেটের অধীনে ২০১৩ সালে মালিতে শান্তিরক্ষা মিশনের কার্যক্রম শুরু হয়। সে বছরেই বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীরা ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীগুলো একত্র হয়ে একটি আলাদা দেশ গঠন করার জন্য মালির উত্তরাঞ্চলের প্রায় সাড়ে ১২ লাখ বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট এলাকায় তাদের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করে। মালি অনেক বছর ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গিদের হুমকির শিকার এবং তাদের
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয় দেশে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ার মাধ্যমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে/ত্বরান্বিত করতে হবে রোহিঙ্গা সমস্যা দিন দিন জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে, প্রতি বছর প্রায় ৩৫ হাজার নতুন শিশুর জন্মের কারনে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বছর বছর বেড়ে চলছে, কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলো অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি মাদক, মানব ও অস্ত্র
আগামী ৫-৬ ডিসেম্বর ঘানায় ২০২৩ সালের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক (ইউএনপিকেএম)অনুষ্ঠিত হবে।এই বৈঠকের আগে প্রস্তুতিমূলক আলোচনায় অংশ নিতে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ডিপার্টমেন্ট অব পিস অপারেশনস (ইউএসজি ডিপিও), জেনারেল জিন পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স ২৫ থেকে ২৬ জুন বাংলাদেশ সফর করবে। এই সফর একটি নিয়মিত ও পূর্বনির্ধারিত সফর। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মন্ত্রী
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাসহ প্রায় সাড়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থাগুলো এখন নানা সংকটের কথা বলে রোহিঙ্গাদের ওপর থেকে মনোযোগ সরিয়ে, ত্রান সহায়তার পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিশিয়ে দিতে উদ্বুদ্ধ করছে যা