মিয়ানমার সংকট ব্রিঃ জেঃ হাসান মোঃ শামসুদ্দীন (অবঃ) রোহিঙ্গা সংকট দুই প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ বাড়িয়েছে এবং এর ফলে আমরা মিয়ানমারের রাখাইন ও চিন রাজ্য, চলমান সংকট এবং দেশটি সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারছি। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামের কুকি চিন সমস্যা নিয়ে বেশ লিখালিখি হচ্ছে এবং সেজন্য ভারতের মিজোরাম
বাংলাদেশ সাতবছর ধরে মিয়ানমার সৃষ্ট রোহিঙ্গা সংকটের বোঝা বহন করে চলছে। বর্তমানে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি (এ এ) এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যেকার সংঘর্ষে বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চলের বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং এর পাশাপাশি এ এ’র তীব্র আক্রমণ সহ্য করতে না পেরে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী (বিজিপি) এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশে পালিয়ে
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে চলমান সংঘর্ষের ফলে সেনাবাহিনী সীমান্ত অঞ্চলের রাজ্য গুলোতে তাদের আধিপত্য হারাচ্ছে। সেনাবাহিনীর মনোবল নিম্নমুখী এবং তারা জনবল সংকটে ভুগছে। চলমান পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর প্রতি জনসমর্থন কমছে এবং বিভিন্ন অঞ্চলে সেনাবাহিনী ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর বিদ্রোহী বাহিনীর (ই এ ও) কাছে আত্মসমর্পণ করছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রায় ৭০ বছর ধরে ই এ
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চলে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির (এ এ) চলমান সংঘর্ষের সংঘর্ষের কারনে জীবন বাঁচাতে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পরবর্তী কয়েকদিন ধরে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যসহ ৩৩০ জন বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়। এই সীমান্তরক্ষীদের দ্বারা সংগঠিত নির্মম নির্যাতনের কারনে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে রাখাইন রাজ্যে
মিয়ানমার বর্তমানে একটি দীর্ঘস্থায়ী অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। রাখাইনের অন্তত ৬০ শতাংশ এ এ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্ত নিরাপত্তা ও উপস্থিতি নিশ্চিত করছে এবং পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতাও চালিয়ে যাচ্ছে। রাখাইনসহ মিয়ানমারের একটি বড় অংশ এরই মধ্যে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। তাদের হামলার তীব্রতায় টিকতে না পেরে জান্তা সেনারা একাধিক
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে স্থানীয় রাখাইন ও মিয়ানমার সেনাবাহিনী মিলে রোহিঙ্গাদের উপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে তাদেরকে তাদের ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য করেছিল যা এখন সারা বিশ্ব জানে। মিয়ানমার থেকে প্রানভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা গত প্রায় সাত বছর ধরে বাংলাদেশের ক্যাম্পগুলোতে বসবাস করছে। দশকের পর দশক ধরে মিয়ানমারে পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদেরকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীতে
মিয়ানমারের জুড়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘাত বেগবান হচ্ছে এবং ব্রাদারহুড এলায়েন্সের কাছে সেনাবাহিনীর অবস্থানগুলোর পতন হচ্ছে। মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) এবং তা’য়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং আরাকান আর্মি (এ এ) ২০২৩ সালের অক্টোবরে জোটবদ্ধ হয়ে ব্রাদারহুড এলায়েন্স গঠন করে এবং অপারেশন ১০২৭ নামে জান্তার উপর সমন্বিত আক্রমণ শুরু
রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবেলায় ২০২৩ সালে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়। এসব কার্যক্রমের পরেও প্রায় সাত বছর ধরে চলা এই সংকট সমাধানের মুখ দেখছে না। এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। তবে কিছু রোহিঙ্গা ছয় বছরেরও বেশী সময় পর মিয়ানমারের রাখাইনে চীনের উদ্যোগে নেয়া পাইলট প্রকল্প দেখে এসেছে। সব
বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে গত প্রায় সাত বছর ধরে নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের কারনে স্থানীয় জনগণের নিরাপদ জীবনযাপনও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার চাহিদা মোতাবেক তেমন কোনো বৈদেশিক সাহায্য-সহযোগিতাও পাচ্ছে না। জাতিসংঘের উদ্যোগে মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলো জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানের (জেআরপি) আওতায় রোহিঙ্গা এবং স্থানীয়
২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বর্তমানে চরম সংকটময় সময় পার করছে। ২০২৩ এর অক্টোবরের শেষভাগে জাতিগত সংখ্যালঘু তিনটি গোষ্ঠীর সশস্ত্র সংগঠন মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং আরাকান আর্মি (এএ) একত্রে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামে জোট গঠন করে জান্তা বাহিনীর
ব্রিঃ জেঃ (অবঃ) হাসান মো. শামসুদ্দীন : মিয়ানমারের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত অঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহরে সেনাবাহিনীর সাথে জাতিগত সশস্ত্রগুষ্টির প্রচণ্ড সংঘর্ষ চলছে। মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং আরাকান আর্মি (এএ) এই তিনটি দল মিলে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স গঠন করে। গত ২৬ অক্টোবর থ্রি ব্রাদারহুড
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংস নির্যাতনের প্রেক্ষিতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশ মানবিক কারনে আশ্রয় দিয়েছে এবং সাড়ে বার লাখ রোহিঙ্গার দেখাশোনা করছে। গত ছয় বছরেও মিয়ানমারে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়াতে রোহিঙ্গাদের মধ্যে হতাশা ক্রমে তীব্র হচ্ছে এর ফলে ক্যাম্পগুলোতে নানা ধরনের নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান থাকা অবস্থায় গাজায় ইসরাইলের নৃশংস হামলা শুরু হয়েছে আর একই সাথে বাড়ছে নিরীহ সাধারন মানুষের দুর্ভোগ। সারা বিশ্বের মনোযোগ এখন গাজার নির্মম ভয়াবহতার দিকে। এভাবেই পৃথিবীতে শান্তির বদলে একের পর এক প্রাকৃতিক ও মানুষ সৃষ্ট দুর্ভোগ লেগেই রয়েছে। দিন দিন দুর্ভোগের তীব্রতা বেড়েই যাচ্ছে কিন্তু আগের