২০২৪ সালের শুরু থেকেই মিয়ামারের আভ্যন্তরীণ সংঘাত ও রাখাইনে আরাকান আর্মির (এ এ) সাথে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ চলমান থাকায় রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য নেয়া পাইলট প্রকল্পের কার্যক্রম থেমে যায়। মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসার সম্ভাবনা এখনও অনিশ্চিত হওয়ায় রোহিঙ্গা সমস্যা
২০২৩ সালে থ্রি ব্রাদারহুড এলায়েন্স গঠনের পর শুরু হওয়া “অপারেশন ১০২৭” এর মাধ্যমে সমন্বিত আক্রমণ শুরুর পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে ও চীন – মিয়ানমার সীমান্ত অঞ্চলে বেশ কিছু শহর ও সামরিক অবস্থানের পতন ঘটে। চীনের সীমান্ত অঞ্চলে চলা এই সংঘর্ষের কারনে সীমান্ত বাণিজ্যের উপর প্রভাব পড়ে ও চীন
রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরতলীতে আরাকান আর্মি ও (এ এ) মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গা প্রবেশ করছে এবং আবারও বড় ধরনের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রোহিঙ্গারা মনে করছে যে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও সরকার পরিবর্তনের সুযোগে রাখাইনে তাদের উপর আক্রমনের তীব্রতা বেড়ে গেছে। হাজার হাজার
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়নের মুখে ও বর্বর হত্যাযজ্ঞ থেকে প্রাণ বাঁচাতে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। নির্মম এই বর্বরতায় বিশ্ব মানবতা হতবাক হয়ে গিয়েছিল। ২০১৭ সালে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর ২০১৮ সাল থেকে ২৫ আগস্ট দিনটিকে রোহিঙ্গারা গণহত্যা দিবস
রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের একটা চলমান গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। বৈশ্বিক ও আভ্যন্তরীণ চলমান সংকটে রোহিঙ্গা সমস্যার গুরুত্ব যাতে কমে না যায় সেজন্য আমাদের সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। যুদ্ধ ও নানা ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের কারনে রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্যের পরিমান কমে যাওয়ার পাশাপাশি এর আবেদনও কিছুটা কমে গিয়েছে। এর ফলে সমস্যা সমাধান দীর্ঘায়িত হচ্ছে
ব্রিঃ জেঃ হাসান মোঃ শামসুদ্দীন (অবঃ) মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে ২০২৩ সালের অক্টোবরে থ্রি ব্রাদারহুড এলায়েন্সের অপারেশন ১০২৭ শুরু হওয়ার পর থেকে উভয় পক্ষের মধ্যেকার সংঘর্ষের তীব্রতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই সংঘর্ষের ফলে হতাহতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে এবং মিয়ানমারের পুরো সীমান্ত অঞ্চল জুড়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। মিয়ানমারের সীমান্ত বাণিজ্য রুটগুলো
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির (এ এ) সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চলমান যুদ্ধের কারনে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জনপদে অনেকদিন ধরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং এলাকার জনগণ আতংকে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরের সংঘর্ষের কারনে ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের ভেতরে গোলা এসে পড়ে ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।
চলমান বৈশ্বিক অস্থিরতা এবং বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারনে বিশ্বব্যাপী উদ্বাস্তু ও বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলছে। নতুন নতুন সংকট মোকাবেলায় দাতাদের ত্রান সহায়তা বরাদ্দের অগ্রাধিকারে পরিবর্তন আসছে এবং ফলশ্রুতিতে রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তার পরিমান কমে যাচ্ছে। দাতারা তাদের সহযোগিতা কমালে কিংবা বন্ধ করে দিলে রোহিঙ্গাদের ত্রান সরবরাহে জটিল সংকটের
মিয়ামারের আভ্যন্তরীণ সংঘাত ও রাখাইনে আরাকান আর্মির (এ এ) সাথে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ চলমান থাকায় সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতার সম্ভাবনা এখনও অনিশ্চিত। এই বাস্তবতায় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কোন আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। চলমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সমস্যা দীর্ঘায়িত হওয়ার পাশাপাশি আরও জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। গত সাত বছর ধরে বাংলাদেশ
মিয়ামারের আভ্যন্তরীণ সংঘাত ও রাখাইনে আরাকান আর্মির (এ এ) সাথে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের তীব্রতা চলমান রয়েছে। সীমান্তের ওপারে রাখাইনের কয়েকটি টাউনশিপে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে এ এ ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের বেশ কয়েকটি গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। সংঘর্ষের তীব্রতায় টিকতে না পেরে রোহিঙ্গারা প্রাণভয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে পালিয়ে আসছে। অনেকে
রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির (এ এ) সাথে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘাত চলমান রয়েছে। মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ এই সংঘাতময় পরিস্থিতি থেকে উত্তোরনের কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। রাখাইনে প্রায় ছয় লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত অবস্থায় আছে এবং সেখানে ভয়াবহ মানবিক সংকট চলছে। চলমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছে এবং রোহিঙ্গা পরিস্থিতি
আরাকান আর্মি (এ এ) রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে অপ্রতিরোধ্য গতিতে যুদ্ধ করে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালের নভেম্বরে এ এ জান্তার সঙ্গে একটি অনানুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। ব্রাদারহুড এলায়েন্স ২০২৩ সালের অক্টোবরে, অপারেশন ১০২৭ নামে জান্তার উপর সমন্বিত আক্রমণ শুরু করার পর এ এ চুক্তি লঙ্ঘন