নামকরণ চতুর্থ রুকূ’র দ্বিতীয় আয়াত () থেকে সূরার নাম গৃহীত হয়েছে। নাযিলের সময় কাল এর সূরায় মক্কী ও মাদানী সূরার বৈশিষ্ট মিলেমিশে আছে। এ কারণে মুফাসসিরগণের মাঝে এর মক্কী বা মাদানী হওয়া নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। কিন্তু আমার মতে এর একটি অংশ মক্কী যুগের শেষের দিকে এবং অন্য অংশটি মাদানী যুগের
নামকরণ কোন বিশেষ আয়াত থেকে এ সূরার নাম গৃহীত হয়নি। এর মধ্যে যেহেতু ধারাবাহিকভাবে বহু নবীর কথা আলোচিত হয়েছে তাই এর নাম রাখা হয়েছে “আল আম্বিয়া”। এটাও সূরার বিষয়বস্তু ভিত্তিক শিরোনাম নয় বরং নিছক সূরা চিহ্নিত করার একটি আলামত মাত্র। নাযিলের সময়-কাল বিষয়বস্তু ও বর্ণনাভংগী উভয়ের দৃষ্টিতেই মনে হয় এর
নাযিলের সময়-কাল সূরা মারইয়াম যে সময় নাযিল হয় এ সূরাটি তার কাছাকাছি সময়েই নাযিল হয়। সম্ভবত হাবশায় হিজরতকালে অথবা তার পরবর্তীকালে এটি নাযিল হয়। তবে হযরত উমরের (রা) ইসলাম গ্রহণের পূর্বেই যে এটি নাযিল হয় তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। তাঁর ইসলাম গ্রহণ সংক্রান্ত সবচেয়ে বেশী প্রচলিত ও নির্ভরযোগ্য হাদীসটি হচ্ছেঃ
নামকরণ এই সূরাটির ষোড়শ আয়াতের وَاذْكُرْفِيالْكِتَابِمَرْيَمَ বাক্যাংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থ্যাৎ এটি সেই সূরা যাতে بِمَرْيَمَ শব্দটি আছে। নাযিলের সময়-কাল হাবশায় হিজরাতের আগেই সূরাটি নাযিল হয়। বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য হাদীস থেকে জানা যায়, মুসলিম মুহাজিরদরকে যখন হাবশায় শাসক নাজ্জাশীর দরবারে ডাকা হয় তখন হযরত জাফর দরবারে উপস্থিত হয়ে
নামকরণ প্রথম রুকূ’র ৯ আয়াত (আরবী ————————————-) থেকে এ সূরার নামকরণ করা হয়েছে । এ নাম দেবার মানে হচ্ছে এই যে, এটা এমন একটা সূরা যার মধ্যে আল কাহফ শব্দ এসেছে । নাযিলের সময় কাল এখান থেকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মক্কী জীবনের তৃতীয় অধ্যায়ে অবতীর্ণ সূরাগুলো শুরু হচ্ছে
নামকরণ: চার নম্বর আয়াতের অংশ বিশেষ (আরবী ————————————) থেকে বনী ইসরাঈল নাম গৃহীত হয়েছে । বনী ইসরাঈল এই সূরার আলোচ্য বিষয় নয় । বরং এ নামটিও কুরআনের অধিকাংশ সূরার মতো প্রতীক হিসেবেই রাখা হয়েছে । নাযিলের সময় কাল প্রথম আয়াতটিই একথা ব্যক্ত করে দেয় যে, মি’রাজের সময় এ সূরাটি নাযিল
জুমাবার মুমিনের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত দিন। এই দিনকে সাপ্তাহিক ঈদ বলা হয়েছে হাদিসে। সৃষ্টিজগতের শুরু থেকে দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। জুমা নামে পবিত্র কুরআনে একটি স্বতন্ত্র সুরা আছে। তাই এই দিনের পবিত্রতা রক্ষা করা সকল মুসলমানের জন্য বাঞ্ছনীয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের এমন কিছু ভুল হয়ে
|■| আজান – পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর সুর আযান শব্দের অর্থ আহ্বান। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের প্রার্থনা করার জন্য যে শব্দের মাধ্যমে ডাকা হয় তাকেই আযান বলা হয়। আযানের শব্দ এবং সুরকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে মিষ্টি শব্দ এবং সুর। আযানের শব্দ গুলো সুন্দর এবং গুচ্ছ গুচ্ছ সাজানো মুক্তোর মতো।
নামকরণ ৬৮ আয়াতের (আরবী ———————) বাক্যাংশ থেকে এ নামকরণ করা হয়েছে । এও নিছক আলামত ভিত্তিক, নয়তো নাহল বা মৌমাছি এ সূরার আলোচ্য বিষয় নয় । নাযিল হওয়ার সময়-কাল বিভিন্ন আভ্যন্তরীণ সাক্ষ্য – প্রমাণ এর নাযিল হওয়ার সময় – কালের ওরর আলোকপাত করে । যেমন, ৪১ আয়াতের ( আরবী—————————-)
নামকরণ : ৮০ আয়াত ( আরবী ————————————————-) এর আল হিজর শব্দটি থেকে সূরার নাম গৃহীত হয়েছে । নাযিল হওয়ার সময় – কাল বিষয়বস্তু ও বর্ণনাভংগী থেকে পরিস্কার বুঝা যায় , এ সূরাটি সূরা ইবরাহীমের সমসময়ে নাযিল হয় । এ পটভূমিতে দু’টি জিনিস পরিস্কার দেখা যাচ্ছে । এক , নবী সাল্লাল্লাহু
নামকরণঃ তের নম্বর আয়াতের (আরবী) বাক্যাংশের “আর্ রা’দ” শব্দটিকে এ সূরার নাম হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এ নামকরণের মানে এ নয় যে, এ সূরায় রা’দ অর্থাৎ মেঘগর্জনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বরং এটা শুধু আলামত হিসেবে একথা প্রকাশ করে যে, এ সূরায় “রাদ” উল্লেখিত হয়েছে বা “রা’দ”-এর
কেয়ামতের আরেকটি আলামত প্রকাশ্যে! পৃথিবীর বয়স যত বাড়ছে, কেয়ামত ততই নিকটবর্তী হচ্ছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিসের মাধ্যমে আমাদের কাছে কেয়ামতের অনেক নিদর্শনের কথা বর্ণনা করে গেছেন। তারমধ্যে বেশ কিছু নিদর্শন ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়ে গেছে বা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামি চিন্তাবিদরা। কেয়ামতের আলামতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, তীব্র ঠান্ডা
নামকরণঃ ৩৫ নং আয়াতে উল্লেখিত (আরবী) বাক্যাংশ থেকে এ সূরার নাম গৃহীত হয়েছে। এ নামকরণের মানে এ নয় যে, এ সূরায় হযরত ইবরাহীমের জীবন বৃত্তান্ত বর্ণনা করা হয়েছে। বরং অধিকাংশ সূরার নামের মতো এখানেও আলামত হিসেবে এ নাম ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ এটি এমন একটি সূরা যেখানে ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের কথা