মানুষের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তাদের আমলনামা বন্ধ হয়ে যায়। তবে ৩ শ্রেণির ব্যক্তি মারা গেলেও তাদের আমল জারি থাকে। যারা দুনিয়ার জীবনে সাদকায়ে জারিয়া, উপকারি ইলম এবং নেক সন্তান রেখে যান। কেননা যতদিন পর্যন্ত মানুষের সাদকার কর্মকাণ্ড জারি থাকে, উপকারি ইলমের চর্চা থাকে কিংবা রেখে যাওয়অ নেক সন্তান দোয়া বা
গোপনে আমল তথা ইবাদত করা ইখলাসের অন্যতম নিদর্শন। উত্তম প্রতিদান লাভের বুনিয়াদও এটি। তাই মানুষের উচিত যে কোনো ভালো কাজ এমনভাবে করা যাতে তা লোক দেখানোর জন্য না হয়। কেননা লোক দেখানো ইবাদতকারী ব্যক্তি ইসলামের রিয়াকার হিসেবে পরিচিত। কুরআন এবং হাদিসে রিয়াকারের কোনো আমলই গ্রহণযোগ্য হবে না বরং মুমিন মুসলমানের
কোরআনে কারিমের তেলাওয়াত মুমিনের হৃদয় আলোকিত করে। কোরআন তেলাওয়াত করলে জান্নাত ও জাহান্নামের চিত্র চোখের সামনে ভেসে ওঠে, কোরআন তেলাওয়াতে অশান্ত হৃদয়ে প্রশান্তি মিলে। কোরআনে কারিমই একমাত্র কিতাব, যা পাঠ করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনে আল্লাহতায়ালার ভয় সৃষ্টি হয়। যারা সব কিছুতে আল্লাহর ওপর ভরসা করেন, তারা কোরআরে কারিম তেলাওয়াত
পিরামিডের দেশ মিসরে বছরজুড়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন চলে। সে কারণে মিসরীয় কারিদের কদর ও সম্মান বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। সে কারণে দেশটির আওকাফ মন্ত্রণালয় চলতি বছরের সব কুরআন প্রতিযোগিতার পুস্কারের জন্য ১২ লাখ মিসরি পাউন্ড (৬০ লাখ টাকা) নির্ধারণ করেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণদের মাঝে যে হারে
পবিত্র কাবা শরীফ ও মসজিদে নববীতে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত ৫০ জনের গায়েবানা জানাজা আদায় করা হয়েছে। গতকাল (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর মুসলিমদের প্রধান দু’টি মসজিদে নিহতদের জন্য বিশেষ দোয়াও করা হয়। (সূত্র: আল আরাবিয়্যা) কাবা শরীফে অনুষ্ঠিত জানাজায় হারামাইনের অন্যতম ইমাম শাইখ মাহির আল মুয়াইকলি ইমামতি করেন। আর
প্রায় ৭০০ বছর আগে পলিনেশীয় বিভিন্ন জাতি নিউজিল্যান্ড আবিষ্কার করে এবং এখানে বসতি স্থাপন করে। এরা ধীরে ধীরে গড়ে তোলে একটি স্বতন্ত্র মাওরি সংস্কৃতি। ১৬৪২ সালে প্রথম ইউরোপীয় অভিযাত্রী, ওলন্দাজ আবেল তাসমান নিউজিল্যান্ডে নোঙর ফেলেন। কিন্তু মাউরিরা তাদের শক্ত হাতে দমন করায় তারা ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায়। এরপর আঠারো শতকের
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে প্রতারণা ও প্রতারক, উভয়ের ব্যাপারে কঠোর নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন এবং তাদের জন্য অবধারিত ধ্বংসের ঘোষণা দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত স্পষ্ট বর্ণনা পাওয়া যায় পবিত্র কোরআনের এই আয়াতে, وَيْلٌ لِّلْمُطَفِّفِينَ الَّذِينَ إِذَا اكْتَالُواْ عَلَى النَّاسِ يَسْتَوْفُونَ وَإِذَا كَالُوهُمْ أَو وَّزَنُوهُمْ يُخْسِرُونَ ‘ধ্বংস তাদের জন্য, যারা
এখনকার পৃথিবী অনেক আনন্দময়, আড়ম্বরপূর্ণ। মানুষের জীবন ও চালচলন জৌলুসপূর্ণ, আরামপ্রিয়। এখন মানুষ সুন্দর বাড়িতে থকে, ভালো খাবার খায়, নরম বিছানায় ঘুমায়। কিন্তু যার উসিলায় আল্লাহতায়ালা এ আসমান-জমিন সৃষ্টি করেছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সেই মহামানব রাসূলে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনযাপন কেমন ছিল তা জানার চেষ্টা করে না। অথচ মুমিন-মুসলমান হিসেবে
কিয়ামতের দিনও সর্ব প্রথম নামাজের হিসেব নেয়া হবে। মুসলমান হিসেবে আমাদের সকলেরই নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে জানা আছে। ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে যার অবস্থান কালেমার পরেই। নামাজের এই গুরুত্বের কারণেই আমাদের উচিত আমাদের শিশুদের শৈশব থেকেই নামাজের জন্য উৎসাহিত ও নামাজে অভ্যস্ত করে তোলার চেষ্টা করা। শিশুর অভিভাবক হিসেবে এটি আমাদের দায়িত্ব।
আল্লাহর নির্দেশ পালনে মুখলিস তথা একনিষ্ঠ ওই ব্যক্তি যে গোপনে আল্লাহর বিধান পালনের মাধ্যমে ইবাদতে নিজেকে নিয়োজিত করে। ব্যক্তি জীবনে বিলাসিতা বর্জন করে। ধন-সম্পদের অহমিকা থেকে দূরে থাকে। আল্লাহর মুখলিস তথা পছন্দনীয় ব্যক্তি হতে হলে চারটি কাজ করা জরুরি। হজরত জুন্নুন মিসরি রহমাতুল্লাহি আলাইহি সে চারটি গুণ গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ
বেশ কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে যে, হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার সময় অনেকেই সেলফি তোলায় ব্যস্ত থাকেন। বিষয়টি নিয়ে গত বছর সৌদি আরব থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমে প্রচুর আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। ওইসব লেখায় বলা হয়েছিল, হজ পালন করতে আসা কিছু মানুষের আচরণ দেখলে মনে হয় তারা আনন্দ ভ্রমণে এসেছেন। হজের
সমাজ জীবনের প্রথম ভিত্তি হলো পরিবার। নারী-পুরুষের বৈধ ইজাব (প্রস্তাব) এবং কবুলের (গ্রহণ) মাধ্যমে বিয়ে করেই মানুষ সমাজ জীবনে থিতু হন। এ বিয়ের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হয় পরিবার ও সমাজ। সৃষ্টির শুরু থেকে মহান আল্লাহ যেভাবে পরিবার গঠনের পদ্ধতি চালু করেছেন, সে ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন-‘হে মানুষ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয়
ইসলাম কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য সুন্দর শব্দ ‘জাজাকাল্লাহ’ বলার শিক্ষা দিয়েছে। এর অর্থ আল্লাহ আপনাকে এর বদলা দিন প্রতি উত্তরে অপর পক্ষ বলবে, ‘হাইয়্যাকাল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘজীবী করুন। তাহলে উভয়েই উপকৃত হবেন। তা ছাড়া এসব শব্দ আল্লাহতায়ালার জিকিরের অন্তর্ভুক্ত। এসব বলায় রয়েছে প্রচুর সওয়াব। আল্লাহর জিকিরের অর্থ হলো- মুখে সব