জান্নাত ও জাহান্নাম। দুই পথ। দুই পরিণাম। দুই বাসস্থান। নেককারদের জান্নাতের বিপরীতে অসৎ কর্মশীলদের জন্যে রয়েছে জাহান্নাম। জাহান্নামের স্তর সাতটি। অন্যায় ও জুলুমের স্তর বিবেচনা করে অপরাধীদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে উপযুক্ত স্থানে। টেনে নেওয়া হবে মাথার চুল ধরে। পুলসিরাতের ওপর চলতে গিয়ে জাহান্নামিরা একে একে পরতে থাকবে ক্বারার তথা স্বীয়
মানুষের দুনিয়ার চাকচিক্য ও ধন-সম্পদের ঐশ্বর্য এবং নারীসহ আকর্ষণীয় বস্তুর মোহের বর্ণনার পর জান্নাতের সুখ-শান্তি ও নেয়ামতের বর্ণনা করেছেন। কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে জান্নাতের ও জান্নাতবাসীদের নেয়ামত, পারস্পরিক সাক্ষাত এবং জান্নাতের জীবনাচরণ সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। মুমিন বান্দা জান্নাতে যা চাইবে তা-ই পাবে। জান্নাতে যেমন জীবন-যাপন করার ইচ্ছা পোষণ করবে তাদের
‘রিয়া’ যে কারণে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের অন্তরায় ইবাদত-বন্দেগি ও আমল হবে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। দুনিয়ার কোনো স্বার্থসিদ্ধি বা মানুষকে দেখানোর জন্য বা কারও বাহবা পাওয়ার জন্য ইবাদত-বন্দেগি করলে আল্লাহ তাআলার দরবারে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। এ লোক দেখানো ইবাদত-বন্দেগিই হলো ‘রিয়া’। ‘রিয়া’ বা লোক দেখানো ইবাদত প্রসঙ্গে
কক্সবাজার জার্নাল ইসলামিক ডেস্কঃ ওয়াদা করে তা পূর্ণ করাই ইসলামের বিধান এবং সাওয়াবের কাজ। আর ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করা গোনাহের কাজ। কুরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ তাআলা ওয়াদা ঠিক রাখা-না রাখা উভয় বিষয়ের লাভ ও ক্ষতির বিষয়টি সুস্পষ্টভাষায় তুলে ধরেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-بَلَى مَنْ أَوْفَى بِعَهْدِهِ وَاتَّقَى فَإِنَّ اللّهَ يُحِبُّ
পর্দা শব্দটি ইসলামের বিধিবিধানের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ইসলাম মানুষের জন্য এমন কিছু ফরজ নিয়মকানুন করে দিয়েছে যা পালনে বেহেশতি সুখ পৃথিবীতেই অনুভূত হয়। আর এর লঙ্ঘনের ফল হয় অশান্তি আর চিরস্থায়ী জাহান্নাম। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন : ‘হে বনি আদম! আমি তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করার ও বেশভূষার জন্য তোমাদের পোশাক পরিচ্ছদের
‘তাওয়াক্কুলের’ অর্থ হলো আল্লাহকে নিজের অভিভাবক নিযুক্ত করা এবং তাঁর উপর পূর্ণভাবে ভরসা করা। অভিভাবক তাকেই বলে যিনি তার অধীনস্ত লোকের কল্যাণের কথা চিন্তা করেন এবং অকল্যাণ হতে বাঁচিয়ে রাখেন। হাত-পা গুটিয়ে ঘরে বসে থাকার নাম আল্লাহর উপর ভরসা (তাওয়াক্কুল) নয়, বরং আল্লাহর দেয়া সুযোগ সুবিধা ও উপায় উপকরণসমূহ কাজে
সমকামিতা ইসলামে হারামই নয় বরং এটি অভিশপ্ত অপরাধ। যে অপরাধের কারণে আল্লাহ তাআলা কাওমে লুত তথা লুত আলাইহিস সালামের অপরাধী জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা তা তুলে ধরেছেন এভাবে-وَلُوطًا إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ أَتَأْتُونَ الْفَاحِشَةَ مَا سَبَقَكُم بِهَا مِنْ أَحَدٍ مِّن الْعَالَمِينَ‘এবং আমি লূতকে প্রেরণ করেছি। যখন সে
কক্সবাজার জার্নাল ডেস্ক: ইসলামের ইতিহাসে মহররম মাসের ১০ তারিখ বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন দিন। দিনটি আশুরা হিসেবে পালন করে বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়। কারবালার বিয়োগান্তক স্মৃতি স্মরণে শোকের আবহে পালিত হয় পবিত্র আশুরা। করোনা মহামারির ব্যাপক প্রাদুর্ভাবে টানা দুই বছর বন্ধ থাকার পর এবার যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে মহররমের ঐতিহ্যবাহী তাজিয়া
আশুরা। হিজরি বছরের ১০ মহররম। ইসলামি শরিয়তের মানদণ্ডে আশুরার অনেক তাৎপর্য, ফজিলত রয়েছে। আবার বেশ কিছু করণীয় ও বর্জনীয় কাজও আছে। আশুরার করণীয় ও বর্জনীয় কাজগুলো কী? যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনাতে এলেন তখন ইহুদিগণ আশুরার দিন রোজা রাখতেন। তারা জানালো, এ দিন মুসা আলাইহিস সালাম ফেরাউনের উপর
আরবি চান্দ্রবর্ষ তথা হিজরি সনের মর্যাদাপূর্ণ মহররম মাসের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা। এই দিনটি ঐতিহাসিক ঘটনাবহুল ও তাৎপর্যময়। এ দিন অন্যায়ের প্রতিবাদ ও ন্যায়ের আদর্শের জন্য আত্মত্যাগের মহিমান্বিত স্মৃতিবিজড়িত কারবালার শোকাবহ, মর্মস্পর্শী, হৃদয়বিদারক ও বিষাদময় ঘটনা সংঘটিত হয়। সৃষ্টির আদি থেকে ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে আশুরার তাৎপর্য স্বীকৃত। হিজরি সন প্রবর্তন
আশুরার দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আরবি ‘আশারা’ শব্দ থেকে আশুরা শব্দটি এসেছে। আশারা অর্থ দশ, আর আশুরা মানে দশম। ইসলামী পরিভাষায় আরবি বর্ষপঞ্জি হিজরি সনের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখকে আশুরা বলে। এছাড়াও এ মাসের ১০ তারিখে ১০টি বড় বড় ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, সে কারণেও মহররমের ১০ তারিখকে
কক্সবাজার জার্নাল ডেস্ক: হজ শেষে একদিনে আরও দুই হাজার ৬১০ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। এ নিয়ে রোববার (৩১ জুলাই) পর্যন্ত সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন ৪১ হাজার ৬৮০ জন হাজি। সোমবার (১ আগস্ট) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইটি হেল্পডেস্ক হজের বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছে। গত শনিবার পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৭০ জন হাজি
বাংলাদেশের আকাশে গতকাল শুক্রবার মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামীকাল রোববার থেকে শুরু হবে মহররম মাস গণনা। আর দেশে পবিত্র আশুরা (১০ মহররম) পালিত হবে আগামী ৯ আগস্ট। গতকাল শুক্রবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল আওয়াল হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।