পর্দা হচ্ছে কাপড়ের তৈরি আবরণ বা আচ্ছাদন। পর্দা বলতে অন্তরাল বা গোপনীয়তাকেও বোঝায়। ইসলামে পর্দা সালাতের মতো ইবাদত। পর্দাপালন আল্লাহর নির্দেশ। সুতরাং বিষয়টি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে নবী! তুমি তোমার স্ত্রীদের, তোমার কন্যাদের আর মুমিন নারীদের বলে দাও- তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের ওপর টেনে
রিয়া বা লোক দেখানো যে কোনো আমলই কবিরা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত। এ গোনাহ থেকে বেঁচে থাকতে কুরআন সুন্নায় সতর্ক করা হয়েছে। কেননা মানুষকে দেখানোর নিয়তে করা যে কোনো আমল বা ইবাদতই আল্লাহ তাআলা কবুল করেন না। মুনাফেকি, কুফর, শিরক, অহংকারের মতো লোক দেখানো ইবাদতও কবিরা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত। সে কারণে কুরআন-সুন্নায় লোক দেখানো ইবাদত থেকে বিরত
ইমান অর্থ বিশ্বাস। ইসলামের মূল বিষয়গুলোর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাসকেই ইমান বলে। প্রকৃত অর্থে মহান আল্লাহতায়ালা, নবি-রাসূল, ফেরেশতা, আখেরাত, তাকদির ইত্যাদি মনে প্রাণে বিশ্বাস করা এবং মেনে চলাই ইমান। কোনো ব্যক্তি যদি আন্তরিকভাবে এসব বিষয়কে বিশ্বাস করে তিনিই হলেন মুমিন। ইমানের তিনটি দিক রয়েছে। যথা : ১. অন্তরে বিশ্বাস করা ২.
সুরা রাদের চতুর্থ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘(৪) এবং ভূমির বিভিন্ন খণ্ড পরস্পর সংলগ্ন; তাতে আছে আঙ্গুরের বাগান, শস্যক্ষেত এবং খেজুর গাছ- কতক দুই মূল বা দুই শিরবিশিষ্ট, কতক একশির বা এক মূল-বিশিষ্ট, সবগুলোকে একই পানি দিয়ে সিঞ্চন করা হয়; এবং আমরা তাদের কোনোটিকে অন্য কয়েক প্রজাতির ওপর প্রাধান্য দিয়ে থাকি।
কোর’আন কি বলে? ইসলামের মৌলিক বাণীই হল সম্প্রীতি। পৃথিবীতে ইসলামই একমাত্র ধর্ম যেখানে মানবতার কল্যাণ করাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, তোমরা শ্রেষ্ঠ উম্মত মানবজাতির কল্যাণের জন্য তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে (সূরা আল ইমরান ৩ঃ১১০)। ইসলাম আল্লাহর কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য দ্বীন। ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম বা জীবন
মাহে রমজানে আমরা বেশি বেশি কোরআন পাঠ করব। চেষ্টা করব অর্থ বুঝে তবেই পাঠ করার। সব সময় কোরআনের সঙ্গে থাকব। কারণ এ মাসেই আল্লাহ মহা পবিত্র আল কোরআন নাজিল করেছেন। এই কোরআন মানবজাতির সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ ও মুক্তির দিশারি বা পথপ্রদর্শক। আজ আমরা পবিত্র কোরআন শরীফের ১০৪ নম্বর সূরা ‘সূরা হুমাজাহ’
মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তাআলা অতিশয় দয়ালু। ভীষণ ক্ষমাশীল ও অনুগ্রহপরায়ণ। একই সঙ্গে তিনি মন্দ কাজের কঠোর শাস্তিদাতাও। কেউ অন্যায় করলে তাকে শাস্তি দেন। তবে যদি গুনাহগার ও অন্যায়কারী নিজের গুনাহ মাফ করিয়ে নেয় তাহলে ভিন্ন কথা। সাধারণত প্রতিটি মানুষই গুনাহ করে। কেউ বেশি, আবার কেউ কম। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ অনেক
‘জন্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা ভবে’ পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণকেই একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। ফিরে যাবে আল্লাহর নিকট। এমন কোনো মানুষ পাওয়া যাবে না যে আল্লাহ ব্যতিত অন্য কারো নিকট বা অন্য কোথাও ফিরে যাবে। আল্লাহ বলেন-অবশেষে তোমাদেরকে তারই মহান দরবারে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। (সুরা বাক্বারা : আয়াত
সুরা আল কাহাফ পবিত্র কোরআনের ১৮তম সুরা। কাহাফ মানে গুহা। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১০। জুমাবারে সুরা আল কাহাফ পড়তে বলা হয়েছে। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) রাসুল (সা.)–এর পক্ষ থেকে বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ পাঠ করবে, তার জন্য এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত
কক্সবাজার জার্নাল ডেস্ক: শুক্রবার মুসলিম উম্মাহর সাপ্তাহিক উৎসবের দিন। এই দিনকে ‘ইয়াওমুল জুমা’ বলা হয়। আল্লাহ তায়ালা নভোমণ্ডল, ভূমণ্ডল ও গোটা জগতকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। এই ছয় দিনের শেষ দিন ছিল জুম্মার দিন। এই দিনেই হজরত আদম (আ.) সৃজিত হন। এ দিনেই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং এ
তাই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজকে ঈমানের পর স্থান দিয়েছেন। নামাজের গুরুত্ব ও ফায়েদা সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরামের সামনে অসংখ্য হাদিন বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে একটি হলো- হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম- (হে আল্লাহর রাসুল!) আল্লাহর কাছে সবচেয়ে
জান্নাত ও জাহান্নাম। দুই পথ। দুই পরিণাম। দুই বাসস্থান। নেককারদের জান্নাতের বিপরীতে অসৎ কর্মশীলদের জন্যে রয়েছে জাহান্নাম। জাহান্নামের স্তর সাতটি। অন্যায় ও জুলুমের স্তর বিবেচনা করে অপরাধীদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে উপযুক্ত স্থানে। টেনে নেওয়া হবে মাথার চুল ধরে। পুলসিরাতের ওপর চলতে গিয়ে জাহান্নামিরা একে একে পরতে থাকবে ক্বারার তথা স্বীয়
মানুষের দুনিয়ার চাকচিক্য ও ধন-সম্পদের ঐশ্বর্য এবং নারীসহ আকর্ষণীয় বস্তুর মোহের বর্ণনার পর জান্নাতের সুখ-শান্তি ও নেয়ামতের বর্ণনা করেছেন। কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে জান্নাতের ও জান্নাতবাসীদের নেয়ামত, পারস্পরিক সাক্ষাত এবং জান্নাতের জীবনাচরণ সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। মুমিন বান্দা জান্নাতে যা চাইবে তা-ই পাবে। জান্নাতে যেমন জীবন-যাপন করার ইচ্ছা পোষণ করবে তাদের