নাযিল হওয়ার সময়-কাল এ সূরার আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করলে একথা উপলব্ধি করা যায় যে, এটা সূরা ইউনূসের সমসময়ে নাযিল হয়েছিল। এমনকি তার অব্যবহিত পরেই যদি নাযিল হয়ে থাকে তবে তাও বিচিত্র নয়। কারণ ভাষণের মূল বক্তব্য একই। তবে সতর্ক করে দেয়ার ধরনটা তার চেয়ে বেশী কড়া। হাদীসে আছে। হযরত
নামকরণঃ যথারীতি ৯৮ আয়াত থেকে নিছক আলামত হিসেবে এ সূরার নামকরণ করা হয়েছে। এ আয়াতের প্রসংগক্রমে হযরত ইউনুস আলাইহিস সালামের কথা এসেছে কিন্তু মূলত ও সূরার আলোচ্য বিষয় হযরত ইউনুসের কাহিনী নয়। নাযিল হওয়ার স্থান এ গোটা সূরাটি মক্কা মুয়াযযামায় নাযিল হয়। হাদীস থেকে একথা প্রমাণিত। সূরার বিষয়বস্তু এ বক্তব্য
নামকরণ এ সূরাটি দু’টি নামে পরিচিতঃ আত্ তাওবাহ ও আল বারাআতু। তাওবা নামকরণের কারণ, এ সূরার এক জায়গায় কতিপয় ঈমানদারের গোনাহ মাফ করার কথা বলা হয়েছে । আর এর শুরুতে মুশরিকদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের কথা ঘোষণা করা হয়েছে বলে একে বারাআত (অর্থাৎ সম্পর্কচ্ছেদ ) নামে অভিহিত করা হয়েছে। বিসমিল্লাহ না লেখার কারণ এ
নাযিলের সময়কাল এ সূরাটি দ্বিতীয় হিজরীতে বদর যুদ্ধের পর নাযিল হয়। ইসলাম ও কুফরের মধ্যে সংঘটিত এ প্রথম যুদ্ধের ওপর এতে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়েছে সূরার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে চিন্তা -ভাবনা করলে অনুমান করা যায়, সম্ভবত এ সমগ্র সূরাটি একটি মাত্র ভাষনের অন্তরভুক্ত এবং একই সংগে এ ভাষণটি নাযিল করা হয়। তবে
নামকরণ এ সূরার ৪৬ ও ৪৭নং আয়াতে (পঞ্চম রুকূতে) আসহাবে আরাফ বা আরাফবাসীদের উল্লেখ করা হয়েছে । সেই জন্যে এর নামকরণ করা হয়েছে আল আরাফ। অন্য কথায় বলা যায়, এ সূরাকে সূরা আল আরাফ বলার তাৎপর্য হচ্ছে এই যে, যে সূরার মধ্যে আ’রাফের কথা বলা হয়েছে ,এটা সেই সূরা। নাযিলের সময়-কাল এ
নামকরণঃ এ সূরার ১৬ ও ১৭ রুকূতে কোন কোন আন’আমের (গৃহপালিত পশু) হারাম হওয়া এবং কোন কোনটির হালাল হওয়া সম্পর্কিত আরববাসিদের কাল্পনিক ও কুসংস্কারমূলক ধারণা বিশ্বাসকে খণ্ডন করা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে এ সূরাকে আল আন’আম নামকরণ করা হয়েছে। নাযিল হওয়ার সময়-কালঃ ইবনে আব্বাসের বর্ণনা মতে এ সম্পূর্ণ সূরাটি একইসাথে মক্কায়
নামকরণঃ এ সূরার ১৫ রুকূর আয়াতে উল্লেখিত মা-য়েদাহ শব্দ থেকে এ নামকরণ করা হয়েছে। কুরআনের অধিকাংশ সূরার নামের মতো এ সূরার নামের সাথেও এর আলোচ্য বিষয়বস্তুর তেমন কোন সম্পর্ক নেই। নিছক অন্যান্য সূরা থেকে আলাদা হিসেবে চিহ্নিত করার জন্যই একে এ নামে অভিহিত করা হয়েছে। নাযিলের সময়–কালঃ হোদাইবিয়ার সন্ধির পর
নাযিল হওয়ার সময়–কাল ও বিষয়বস্তুঃ এ সূরাটি কয়েকটি ভাষণের সমষ্টি । সম্ভবত তৃতীয় হিজরীর শেষের দিক থেকে নিয়ে চতুর্থ হিজরীর শেষের দিকে অথবা পঞ্চম হিজরীর প্রথম দিকের সময়-কালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে এর বিভিন্ন অংশ নাযিল হয়। যদিও নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না, কোন আয়াত থেকে কোন আয়াত পর্যন্ত একটি ভাষণের অন্তরভুক্ত হয়ে নাযিল হয়েছিল এবং
নামকরণ বাকারাহ মানে গাভী । এ সূরার এক জায়গায় গাভীর উল্লেখ থাকার কারণে এর এই নামকরণ করা হয়েছে । কুরআন মজীদের প্রত্যেকটি সূরার এত ব্যাপক বিষয়ের আলোচনা করা হয়েছে যার ফলে বিষয়বস্তুর দিক দিয়ে তাদের জন্য কোন পরিপূর্ণ ও সার্বিক অর্থবোধক শিরোনাম উদ্ভাবন করা সম্ভব নয় । শব্দ সম্ভারের দিক
ইসলামে সব ধরণের জুলুম/অত্যাচার কঠোরভাবে হারাম। জুলুমকারী সবচেয়ে ঘৃণিত ও নিকৃষ্ট। আল্লাহ তাআলা নিজের জন্য জুলুমকে হারাম করে নিয়েছেন। এটি মানুষের জন্যও নিষিদ্ধ। এটি কবিরা গুনাহ বা মহাপাপ। কোরআন-সুন্নাহর একাধিক বর্ণনায় বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে ওঠে এসেছে। জুলুমকে আল্লাহ তাআলা নিজের জন্য হারাম করে নিয়েছেন মর্মে হাদিসে কুদসিতে নবিজী ঘোষণা করেন, আল্লাহ
আমাদের সমাজে একটি কথা বহুল প্রচলিত ‘লজ্জা নারীর ভূষণ’। আসলে শুধু কি তাই? লজ্জা নারীকে সুন্দর করে তোলে। তার সম্মান মর্যাদা, আভিজাত্য প্রকাশ পায়। লজ্জাহীন নারী থেকে ভ্রষ্টরা নষ্ট স্বার্থ হাসিল করার জন্য বাহবা দিলেও অন্তর থেকে পছন্দ করে না। আপন করে নিতে পারে না। স্বার্থ হাসিলের পর কলার ছোলার
মানুষের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মহান আল্লাহর অমূল্য নিয়ামত। কোনো একটি অঙ্গ সাময়িক ত্রুটিযুক্ত হলে তা খুব গভীরভাবে অনুভব করা যায়। মানুষ সারা জীবন সিজদায় পড়ে শুকরিয়া জ্ঞাপন করলেও মহান আল্লাহর এই মহামূল্যবান নিয়ামতগুলোর শুকরিয়া আদায় হবে না। তাই মানুষের উচিত, প্রতিটি অঙ্গ মহান আল্লাহর হুকুম-আহকাম পালনের কাজে ব্যবহার করা। গুনাহের কাজ