কোনো মুসলমান যখন ইসলাম ত্যাগ করে নাস্তিকতা বা অন্য ধর্ম অবলম্বন করে তখন তাকে ইসলামী পরিভাষায় মুরতাদ বলে। কোনো ধর্ম গ্রহণ না করা কিংবা আনুষ্ঠানিক নাস্তিক না হওয়া ব্যক্তিও মুরতাদ। কারণ, নিজ ধর্ম ইসলামের প্রতি অনাস্থা, অবিশ্বাস ও দ্বিধা-সংশয় মনে স্থান দিলেই মানুষ রিদ্দাত রোগে আক্রান্ত হয়। এর অর্থ প্রত্যাখ্যান।
‘মুনাফিক’ শব্দটি ‘নফক’ শব্দ থেকে গঠিত। নফকের অর্থ- গর্ত, ছিদ্র, সুড়ঙ্গ, বের হওয়া, খরচ করা, ব্যয় করা। কারো মতে, ‘নাফেকুল ইয়ারবু’ (পাহাড়ি ইঁদুর) থেকে মুনাফিক শব্দটি গঠিত। পাহাড়ি ইঁদুরকে ‘নাফেকুল ইয়ারবু’ বলা হয়। কারণ পাহাড়ি ইঁদুর অত্যন্ত ধূর্ত ও চতুর হয়, এরা পাহাড়ে অনেক গর্ত খনন করে। এদের মারার জন্য
সত্যতা ইমান ও ইসলাম সত্যতা ও সততা ইসলামের মূল চালিকা শক্তি। মুমিন বা মুসলিম হলো সত্যের অনুসারী। জীবনের সব ক্ষেত্রে, সর্বাবস্থায় সত্যের অনুসরণ করাই হলো ইমান ও ইসলাম। আল্লাহ তাআলা কোরআন কারিমে বলেন, ‘তুমি বলো: সত্য এসেছে, মিথ্যা অপসৃত হয়েছে; নিশ্চয় মিথ্যা দূরীভূত হবেই’ (১৭: ৮১)। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আরও
পর্দা হচ্ছে কাপড়ের তৈরি আবরণ বা আচ্ছাদন। পর্দা বলতে অন্তরাল বা গোপনীয়তাকেও বোঝায়। ইসলামে পর্দা সালাতের মতো ইবাদত। পর্দাপালন আল্লাহর নির্দেশ। সুতরাং বিষয়টি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে নবী! তুমি তোমার স্ত্রীদের, তোমার কন্যাদের আর মুমিন নারীদের বলে দাও- তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের ওপর টেনে
রিয়া বা লোক দেখানো যে কোনো আমলই কবিরা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত। এ গোনাহ থেকে বেঁচে থাকতে কুরআন সুন্নায় সতর্ক করা হয়েছে। কেননা মানুষকে দেখানোর নিয়তে করা যে কোনো আমল বা ইবাদতই আল্লাহ তাআলা কবুল করেন না। মুনাফেকি, কুফর, শিরক, অহংকারের মতো লোক দেখানো ইবাদতও কবিরা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত। সে কারণে কুরআন-সুন্নায় লোক দেখানো ইবাদত থেকে বিরত
ইমান অর্থ বিশ্বাস। ইসলামের মূল বিষয়গুলোর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাসকেই ইমান বলে। প্রকৃত অর্থে মহান আল্লাহতায়ালা, নবি-রাসূল, ফেরেশতা, আখেরাত, তাকদির ইত্যাদি মনে প্রাণে বিশ্বাস করা এবং মেনে চলাই ইমান। কোনো ব্যক্তি যদি আন্তরিকভাবে এসব বিষয়কে বিশ্বাস করে তিনিই হলেন মুমিন। ইমানের তিনটি দিক রয়েছে। যথা : ১. অন্তরে বিশ্বাস করা ২.
সুরা রাদের চতুর্থ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘(৪) এবং ভূমির বিভিন্ন খণ্ড পরস্পর সংলগ্ন; তাতে আছে আঙ্গুরের বাগান, শস্যক্ষেত এবং খেজুর গাছ- কতক দুই মূল বা দুই শিরবিশিষ্ট, কতক একশির বা এক মূল-বিশিষ্ট, সবগুলোকে একই পানি দিয়ে সিঞ্চন করা হয়; এবং আমরা তাদের কোনোটিকে অন্য কয়েক প্রজাতির ওপর প্রাধান্য দিয়ে থাকি।
কোর’আন কি বলে? ইসলামের মৌলিক বাণীই হল সম্প্রীতি। পৃথিবীতে ইসলামই একমাত্র ধর্ম যেখানে মানবতার কল্যাণ করাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, তোমরা শ্রেষ্ঠ উম্মত মানবজাতির কল্যাণের জন্য তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে (সূরা আল ইমরান ৩ঃ১১০)। ইসলাম আল্লাহর কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য দ্বীন। ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম বা জীবন
মাহে রমজানে আমরা বেশি বেশি কোরআন পাঠ করব। চেষ্টা করব অর্থ বুঝে তবেই পাঠ করার। সব সময় কোরআনের সঙ্গে থাকব। কারণ এ মাসেই আল্লাহ মহা পবিত্র আল কোরআন নাজিল করেছেন। এই কোরআন মানবজাতির সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ ও মুক্তির দিশারি বা পথপ্রদর্শক। আজ আমরা পবিত্র কোরআন শরীফের ১০৪ নম্বর সূরা ‘সূরা হুমাজাহ’
মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তাআলা অতিশয় দয়ালু। ভীষণ ক্ষমাশীল ও অনুগ্রহপরায়ণ। একই সঙ্গে তিনি মন্দ কাজের কঠোর শাস্তিদাতাও। কেউ অন্যায় করলে তাকে শাস্তি দেন। তবে যদি গুনাহগার ও অন্যায়কারী নিজের গুনাহ মাফ করিয়ে নেয় তাহলে ভিন্ন কথা। সাধারণত প্রতিটি মানুষই গুনাহ করে। কেউ বেশি, আবার কেউ কম। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ অনেক
‘জন্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা ভবে’ পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণকেই একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। ফিরে যাবে আল্লাহর নিকট। এমন কোনো মানুষ পাওয়া যাবে না যে আল্লাহ ব্যতিত অন্য কারো নিকট বা অন্য কোথাও ফিরে যাবে। আল্লাহ বলেন-অবশেষে তোমাদেরকে তারই মহান দরবারে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। (সুরা বাক্বারা : আয়াত
সুরা আল কাহাফ পবিত্র কোরআনের ১৮তম সুরা। কাহাফ মানে গুহা। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১০। জুমাবারে সুরা আল কাহাফ পড়তে বলা হয়েছে। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) রাসুল (সা.)–এর পক্ষ থেকে বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ পাঠ করবে, তার জন্য এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত