নাযিল হওয়ার সময়–কাল ও বিষয়বস্তুঃ এ সূরাটি কয়েকটি ভাষণের সমষ্টি । সম্ভবত তৃতীয় হিজরীর শেষের দিক থেকে নিয়ে চতুর্থ হিজরীর শেষের দিকে অথবা পঞ্চম হিজরীর প্রথম দিকের সময়-কালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে এর বিভিন্ন অংশ নাযিল হয়। যদিও নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না, কোন আয়াত থেকে কোন আয়াত পর্যন্ত একটি ভাষণের অন্তরভুক্ত হয়ে নাযিল হয়েছিল এবং
নামকরণ বাকারাহ মানে গাভী । এ সূরার এক জায়গায় গাভীর উল্লেখ থাকার কারণে এর এই নামকরণ করা হয়েছে । কুরআন মজীদের প্রত্যেকটি সূরার এত ব্যাপক বিষয়ের আলোচনা করা হয়েছে যার ফলে বিষয়বস্তুর দিক দিয়ে তাদের জন্য কোন পরিপূর্ণ ও সার্বিক অর্থবোধক শিরোনাম উদ্ভাবন করা সম্ভব নয় । শব্দ সম্ভারের দিক
ইসলামে সব ধরণের জুলুম/অত্যাচার কঠোরভাবে হারাম। জুলুমকারী সবচেয়ে ঘৃণিত ও নিকৃষ্ট। আল্লাহ তাআলা নিজের জন্য জুলুমকে হারাম করে নিয়েছেন। এটি মানুষের জন্যও নিষিদ্ধ। এটি কবিরা গুনাহ বা মহাপাপ। কোরআন-সুন্নাহর একাধিক বর্ণনায় বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে ওঠে এসেছে। জুলুমকে আল্লাহ তাআলা নিজের জন্য হারাম করে নিয়েছেন মর্মে হাদিসে কুদসিতে নবিজী ঘোষণা করেন, আল্লাহ
আমাদের সমাজে একটি কথা বহুল প্রচলিত ‘লজ্জা নারীর ভূষণ’। আসলে শুধু কি তাই? লজ্জা নারীকে সুন্দর করে তোলে। তার সম্মান মর্যাদা, আভিজাত্য প্রকাশ পায়। লজ্জাহীন নারী থেকে ভ্রষ্টরা নষ্ট স্বার্থ হাসিল করার জন্য বাহবা দিলেও অন্তর থেকে পছন্দ করে না। আপন করে নিতে পারে না। স্বার্থ হাসিলের পর কলার ছোলার
মানুষের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মহান আল্লাহর অমূল্য নিয়ামত। কোনো একটি অঙ্গ সাময়িক ত্রুটিযুক্ত হলে তা খুব গভীরভাবে অনুভব করা যায়। মানুষ সারা জীবন সিজদায় পড়ে শুকরিয়া জ্ঞাপন করলেও মহান আল্লাহর এই মহামূল্যবান নিয়ামতগুলোর শুকরিয়া আদায় হবে না। তাই মানুষের উচিত, প্রতিটি অঙ্গ মহান আল্লাহর হুকুম-আহকাম পালনের কাজে ব্যবহার করা। গুনাহের কাজ
হযরত লূত (আঃ) ছিলেন হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর ভাতিজা। চাচার সাথে তিনিও জন্মভূমি ‘বাবেল’ শহর থেকে হিজরত করে বায়তুল মুক্বাদ্দাসের অদূরে কেনআনে চলে আসেন। আল্লাহ লূত (আঃ)-কে নবুঅত দান করেন এবং কেনআন থেকে অল্প দূরে জর্ডান ও বায়তুল মুক্বাদ্দাসের মধ্যবর্তী ‘সাদূম’ অঞ্চলের অধিবাসীদের পথ প্রদর্শনের জন্য প্রেরণ করেন। এ এলাকায় সাদূম,
জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য মানুষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শ্বাস-নিঃশ্বাস, যে প্রয়োজন পূর্ণ হয় বাতাসের মাধ্যমে। কিছুক্ষণের জন্য সেই বাতাস বন্ধ হয়ে গেলে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না। জীবনের অতি প্রয়োজনীয় এই বস্তুটিকে আল্লাহ তাআলা সবচেয়ে বেশি সহজ করেছেন। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ অবারিতভাবে এই নিআমত গ্রহণ করছে। জীবন টিকিয়ে রাখার
সূরাতুল ফাতিহাহ’ অর্থ মুখবন্ধ বা ভূমিকার সূরা। ইমাম কুরতুবী বলেন, একে ‘ফাতিহাহ’ এজন্য বলা হয় যে, এই সূরার মাধ্যমে কুরআন পাঠ শুরু করা হয়। এই সূরার মাধ্যমে কুরআনের সংকলন কাজ শুরু হয়েছে এবং এই সূরার মাধ্যমে ছালাত শুরু করা হয়’। এটি মক্কায় অবতীর্ণ ১ম ও পূর্ণাঙ্গ সূরা। এতে ৭টি
মহান আল্লাহ তাআলা মানুষ সৃষ্টি করেছেন ইবাদতের জন্য; মানুষকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন খলিফা হিসেবে। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফা আহমাদ মুজতবা (সা.)–কে দুনিয়ায় পাঠানোর উদ্দেশ্য সম্পর্কে মহাগ্রন্থ কোরআনে কারিমে বলা হয়েছে: ‘তিনি মহান আল্লাহ, যিনি পাঠিয়েছেন তঁার প্রেরিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হিদায়াত (পথনির্দেশ) ও সত্য দ্বীন (জীবনবিধান) সহকারে; যাতে প্রকাশ্য
মানুষের হিদায়াতের জন্য মহান আল্লাহ যেসব মহামানবকে মনোনীত করেছেন, তাঁদের ‘নবী-রাসুল’ বলা হয়। যেসব নবীর প্রতি কিতাব নাজিল করা হয়েছে এবং নতুন শরিয়ত দেওয়া হয়েছে, তাঁদের রাসুল বলা হয়। আর প্রত্যেক পয়গম্বরকেই নবী বলা হয়, তাঁকে নতুন কিতাব ও নতুন শরিয়ত দেওয়া হোক বা না হোক। (শরহুল আকাইদিন নাসাফিয়্যা
ইসলামি শরিয়ত নারীদের সম্মান-মর্যাদা এবং তাদের সুরক্ষিত রাখার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। তাই যে ক্ষেত্রে তাদের সম্মান-মর্যাদা বা সুরক্ষা বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সে ক্ষেত্রে ইসলামি শরিয়ত তাদের জন্য বিশেষ বিধান দিয়েছে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে ইসলামি শরিয়তের সাধারণ বিধান হচ্ছে— স্বামী বা মাহরাম ছাড়া একাকী সফর করা নারীদের জন্য
জুমার দিন সপ্তাহের পবিত্রতম ও শ্রেষ্ঠ দিন। এই দিনের ইবাদত বিশেষ কিছু ইবাদত ও সময় রয়েছে। বিশেষ সময়গুলোতে দোয়া করলে ও আল্লাহর কাছে চাইলে আল্লাহ তাআলা দোয়া কবুল করেন। বান্দাকে বিশেষ অনুগ্রহে ভূষিত করেন। হাদিসে জুমার দিন বিভিন্ন সময় দোয়া কবুলের কথা রয়েছে। তবে জুমার দিন আসরের পর দোয়ার কথা