প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আর কতদুর: দ্বিতীয় দিনে ৭৮ রোহিঙ্গার সাথে সাক্ষাৎ

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •

প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদশে আসা মিয়ানমার প্রতিনিধি দলকে দ্বিতীয় দিনে ২৩ পরিবারের আরো ৭৮ জন রোহিঙ্গা নর-নারীর তথ্য যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করেছেন।

১৬ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরের রেষ্ট হাউজে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।

এর আগে বুধবার প্রথম দিনে ২৮ পরিবারের ৯০ জন রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই করেছিল মিয়ানমার প্রতিনিধি দল।

প্রতিনিধি দলকে তথ্য দিয়ে আসা নয়াপাড়া ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গা জানান, মিয়ানমার প্রতিনিধি দল আমার কাছে যেসব তথ্য চেয়েছেন সবগুলো তথ্য সঠিক ভাবে দিয়েছি। মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আমাদের গ্রামে কোন স্থানে কি রয়েছে সে বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। আমি উত্তর গুলো সঠিক ভাবে দিতে সক্ষম হয়েছি।

মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই প্রসঙ্গে এক রোহিঙ্গা নেতা জানান, প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের একাধিক সদস্য তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন।

তবে তারা সাক্ষাতকার দেয়া রোহিঙ্গাদের আশ^স্থ করেছেন, মিয়ানমার সরকার যেকোন ভাবেই প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য প্রস্তুত।তাই প্রথম প্রত্যাবাসন তালিকার এক হাজার ১৪০ জনের মধ্যে বাদ পড়া ৪২৯ জন রোহিঙ্গার মিয়ানমার নাগরিকতা সম্পর্কিত তথ্য যাচাই করতে এসেছেন।

ওই রোহিঙ্গা নেতা আরো জানান, আমরা যতটুকু নিশ্চিত হয়েছি তাতে চলমান তথ্য যাচাই শেষ হলে মিয়ানমার সরকার প্রত্যাবাসনের জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন বাংলাদেশ সরকারকে। তবে যেভাবে হোক যতজন হোক প্রাথমিক ধাপে প্রত্যাবাসন শুরু হলেই হলো। অন্তত আমরা নিজ দেশে গিয়ে মাথাগোঁজার ঠাঁই পাবো।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছুদ্দৌজা বলেন, প্রতিনিধি দল ভেরিফিকেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করে মিয়ানমার ফিরবেন। তারা রোহিঙ্গাদের নিকট থেকে পাওয়া বিভিন্ন তথ্য সরকারের উক্ত কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন জানাবেন। এ বিষয়ে মিয়ানমারের সরকারে চূড়ান্ত স্বীকৃতি পেলে হয়তো তারা প্রত্যাবাসনের সরু পথ প্রশস্থ করবেন।

উল্লেখ্য:-১৫ মার্চ (বুধবার) সকালে ২২ সদস্যের মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল টেকনাফে পৌঁছান। তাদের মধ্যে জাফর আহমদ ও আব্দুর রহিম নামে দুইজন রোহিঙ্গা ও একজন হিন্দু নাগরিকও রয়েছেন। তারা মুলত তাদের সরকারের এক হাজার ১৪০ জনের প্রত্যাবাসন তালিকা থেকে প্রতাবাসনের জন্য মিয়ানমার সরকারের সম্মতি না পাওয়া ৪২৯ জন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলছেন। আগামী আরো চারদিন তারা তথ্য যাচাইয়ের কাজ চালিয়ে যাবেন।

আরও খবর