গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল ডটকম •
টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপে বসত ভিটার জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন হওয়ার প্রধান আসামী ঘাতক ভাইকে কক্সবাজারে ভাড়াবাসা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব-১৫ সদস্যরা।
তথ্য সূত্রে দেখা যায়, ১লা ফেব্রুয়ারী দুপুর সোয়া ২টারদিকে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী কক্সবাজারের ঝিলংজা মুহুরিপাড়ার জনৈক দেলোয়ার হোসেন এর ভাড়াবাসা হতে টেকনাফ মডেল থানার মামলা নং-৬৮, তারিখ-৩০-০১-২০২৩ ইং জি আর নং-৬৮ এর প্রধান আসামী সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ উত্তর-পশ্চিম পাড়ার মৃত মকবুল আহমদের পুত্র মোঃ ইউনুছ (৬০) কে গ্রেফতার করে।
একই দিন বিকালে র্যাব-১৫ এর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারী বিকাল সাড়ে ৫টারদিকে টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ উত্তর পাড়া এলাকায় দীর্ঘদিনের পারিবারিক বসত ভিটার জমির বিরোধ নিয়ে মো. ইউনুছ, তার পুত্র ওসমান গনি ও ভাতিজা ইউনুসসহ আরো অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মিলে মৃত মকবুল আহমদের পুত্র নিহত ভিকটিম মোহাম্মদ হোসেন (৫৮) এর উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় লাঠিসোটা, লোহার রড, কিরিচ ও দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্বকভাবে রক্তাক্ত জখম করে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মোহাম্মদ হোসেন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে।
এরপর নিহত মোহাম্মদ হোসেনের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন (৫৩) বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করে।
এদিকে আসামীরা গ্রেফতার এড়াতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে চলে যায়। ঘটনাটি র্যাব সদস্যদের কাছে অবগত হওয়ার সাথে সাথে উক্ত আসামীদের ধৃত করতে র্যাব-১৫ কর্মরত চৌকষ সদস্যরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে র্যাব। তারেই প্রেক্ষিতে হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব। মামলার সাথে জড়িত অভিযুক্ত অন্য আসামীদের গ্রেফতার করার লক্ষ্যে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল এন্ড মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.আবু সালাম চৌধুরী জানান, টেকনাফে ছোট ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা মামলার প্রধান আসামী ঘাতক মো.ইউনুছ’র বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করতে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-