কক্সবাজার জার্নাল ডেস্ক:
‘আর কখনও কারও কাছে কিছু চাইবো না। সবাই ভালো থাইকেন, আর আমার জন্য দোয়া কইরেন। আর হয়তো কোন পোস্ট করা হবে না’। নিজের ফেসবুক আইডিতে এমন পোস্ট দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন পোশাক শ্রমিক রনি আহমেদ।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় শ্রীপুর থানাধীন চকপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মিন্টু মিয়া তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন।
রনি আহমেদ গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের মাওনা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি উপজেলার রঙ্গীলা বাজার এলাকার আনোয়ারা নিট কম্পোজিট মিলস লিমিটেডে অপারেটর পদে চাকরি করতেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার পর কোনও একসময় আত্মহত্যা করেন।
নিহতের পাশের বাড়ির আতিক হোসেন দাবি করেন, একই গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে রনির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা দুজন দেড় মাস আগে পালিয়ে গিয়েছিল। বাড়িতে আসার ২৬ দিন পর মেয়ের অভিভাবক ও পরিবার গত ৬ জানুয়ারি বিয়ে দিয়ে দেয়। প্রেমিকার বিয়ে হওয়ার পর থেকে সে মানসিক অস্থিরতায় ছিল। কারও কথা বলতো না। শুক্রবার বিকালে প্রেমিকা স্বামীসহ গ্রামের বাড়ি এলে সে দেখতে পায়। এরপর রাতে এই ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও দাবি করেন, শুক্রবার রাত ২টা পর্যন্ত পরিবারের সবার সঙ্গে পিঠা খেয়ে ঘুমাতে যায়। এ সময় তার মা-কে বলে, আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিসে যাবো। জাগতে না পারলে ডেকে দিও। ঘুমানোর আগে সে তার ফেসবুক আইডিতে ওই স্ট্যাটাসটি দেয়। শনিবার সকাল হয়ে গেলেও দরজা না খোলায় বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে তারা দরজার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে রনিকে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখেন।
এসআই মিন্টু মিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ওই বাড়িতে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রনির লাশ উদ্ধার করা হয়। কোনও অভিযোগ না থাকায় পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলা ট্রিবিউন
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-