কক্সবাজারে বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রের টারবাইন নির্মাণকাজ বন্ধ

বিশেষ প্রতিবেদক •

কক্সবাজারে দেশের বৃহৎ বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রের টারবাইন নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয়রা।

ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি অবৈধভাবে দখল করে নির্মাণকাজ পরিচালনা, হুমকি ও মাটি ভরাট করে লবণচাষের জমি নষ্ট করার অভিযোগে আদালতে মামলাও করেছেন জমির মালিকরা।

মামলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইউএস-ডিকে গ্রিন এনার্জি (বিডি) নামে একটি বেসরকারি কোম্পানি নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছিল।

রোববার জমির মালিকদের বাধার মুখে কাজ বন্ধ করে চলে যান কোম্পানির লোকজন।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির অংশ হিসেবে বায়ুশক্তিকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে দেশের বৃহৎ বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে কক্সবাজারে। সদর উপজেলার খুরুশকুলে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচ একর জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

আরফাতুল ইসলাম নামে এক জমির মালিক জানান, তাঁদের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধপূর্ণ জমিতে কোনো ধরনের স্থাপনা না করতে কক্সবাজার সদরের সিনিয়র সহকারী জজ আদালত গত ৩ জানুয়ারি নিষেধাজ্ঞা দেন। এরপরও তাঁদের জমির ওপর কাজ করায় একটি টারবাইনের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁরা।

নির্মাণকারী কোম্পানির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, জমির মালিকরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে শুনেছেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কোনো কপি তাঁরা পাননি। জমি নিয়ে জটিলতার বিষয়টি কোম্পানির আইন উপদেষ্টা দেখছেন। কক্সবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের গণি বলেন, তাঁরা শুধু কারিগরি সহায়তা দিচ্ছেন। জমি নিয়ে জটিলতার বিষয় নিয়ে কোম্পানির লোকজনই ভালো বলতে পারবে।

জানা গেছে, চীনা প্রতিষ্ঠান এসপিআইসি উইলিং পাওয়ার করপোরেশনের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ইউএস-ডিকে গ্রিন এনার্জি (বিডি)। এ প্রকল্পের আওতায় খুরুশকুল, পিএমখালী ও চৌফলদণ্ডি ইউনিয়নে মোট ২২টি উইন্ড টারবাইন ১১০ মিটার উঁচু টাওয়ারের ওপর স্থাপন করা হচ্ছে। এর পাখাগুলো বাতাসের শক্তিতে ঘুরে বায়ুশক্তিকে বিদ্যুতে পরিণত করবে। বাতাসের বিপরীতে এগুলো অনেকটা বিমানের ডানার মতো কাজ করে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার এএসআই সুরোজ বড়ূয়া বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বিরোধপূর্ণ জায়গায় বিশৃঙ্খলা রোধে তাঁরা কাজ করছেন।

আরও খবর