ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে যা বললেন উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক!

বার্তা পরিবেশক •

গত ২৪শে ডিসেম্বর বিভিন্ন অনলাইনে প্রচারিত সংবাদ সম্মেলনে উখিয়া বহুমুখী সরকারি উচ্চ বিদ্যালযয়ে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি বিষয়ে জিনাত রেহানা নামের একজন অভিভাবক কর্তৃক তাঁর মেয়ের অনলাইন লটারিতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হওয়া এবং প্রধান শিক্ষক তাঁর মেয়েকে ভর্তি না করা সংক্রান্ত অভিযোগ করে বক্তব্য দিয়েছেন।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাঁর আনীত অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন দাবী করে বক্তব্য দিয়েছেন উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল হোসাইন সিরাজী।

তিনি বলেন, ২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ এর নির্দেশনা মতে নির্বাচিতদের জন্য
“১৮ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর এবং অপেক্ষমান তালিকা হতে “২২ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর তারিখ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।

উক্ত অভিভাবক তাঁর মেয়েকে ভর্তির জন্য উখিয়া বহুমুখী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আসেন ২২/১২/২০২২ খ্রি: তারিখ দুপুর ১:০০ টায়। উল্লেখিত ভর্তি সংক্রান্ত নির্দেশনা অনুযায়ী সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁর মেয়ের ভর্তির অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি এবং তাঁর সাথে আসা আরো ৩জন সহ উত্তপ্ত কথা বলতে বলতে চলে যান। পরে বিকাল ৫:০০ টায় ভর্তি সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম শেষে ভর্তির জন্য দায়িত্ব প্রদানকৃত দুইজন শিক্ষক এবং কর্মচারীসহ প্রধান শিক্ষক স্কুল প্রঙ্গন ত্যাগকালে উক্ত অভিভাবক তাঁর সাথের ৩জন সহ পুণরায় স্কুলে এসে ভর্তির জন্য বিভিন্নভাবে জুরাজুরি ও চাপ সৃষ্টি করতে থাকে।

স্কুল কর্তৃপক্ষ পুণরায় অপারগতা প্রকাশ করলে সাথে থাকা তাঁর স্বামী প্রধান শিক্ষকসহ স্কুলের সকল শিক্ষক-কর্মচারীকে রাস্তাঘাটে দেখা পেলে প্রকাশ্য হেনস্থার হুমকি দেন এবং অকথ্য ভাষায় বকাবকি করেন।

তিনি বলেন, ভর্তি সংক্রান্ত উল্লেখিত মাউশি’র স্মারকের আলোকে অত্র স্কুল কর্তৃপক্ষ পত্র নং: উবসউবি/২০২২-৭৫, তারিখ: ১৪.১২.২০২২ খ্রি: ভর্তির জন্য নোটিশ জারী করে এবং তা স্কুল নোটিশ বোর্ডে প্রচার করে।

তিনি আরও বলেন,উক্ত অভিভাবক স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক আবদুস ছালাম এর নিকট প্রতিবেশী বিধায় তিনি নিজেও তাঁর বাড়িতে গিয়ে দু’বার ভর্তির বিষয়ে জানান। স্কুল কর্তপক্ষ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনামতে বাৎসরিক শিক্ষাবর্ষে ভর্তি এবং দাপ্তরিক কাজকর্ম পরিচালনায় যদি নীতিমালা এবং বিধি বিধানের আলোকে তার সীমাবদ্ধতার কথা বললে উক্ত অভিভাবক এবং আরো অনেকের কাছে “খারাপ” ব্যবহার করেছেন বলে প্রকাশ্য অভিযোগ তুলেন, এক্ষেত্রে সরকারি চাকুরীজীবি হিসেবে আমাদের অসহায়ত্ব ছাড়া আর কিছুই নেই।

আরও খবর