অনলাইন ডেস্ক
নিউমোনিয়া শব্দের অর্থ ‘ফুসফুসের সংক্রমণ’। যদিও আগে নিউমোনিয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক ছিল কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগ শিশুই সঠিক চিকিৎসা পেলে সহজেই এই রোগ থেকে সেরে উঠতে পারে।
নিউমোনিয়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শ্বাস নালীতে ভাইরাল সংক্রমণ ছড়ায়। আবার ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণেও নিউমোনিয়া হতে পারে।
ভাইরাল সংক্রমণ হলে শ্বাসনালীকে যথেষ্ট জ্বালাতন এবং সঙ্গে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল করে দেয়। এদিকে ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে ফুসফুসে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং সমস্যার শুরু হয়।
সিস্টিক ফাইব্রোসিস, অ্যাজমা বা ক্যান্সারের মতো রোগে আক্রান্ত শিশুদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ফুসফুস দুর্বল হয়ে পড়ে। এমন কিছু শিশুদের নিউমোনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আবার যেসব শিশুর শ্বাসনালী বা ফুসফুসে সমস্যা তাদেরও ঝুঁকি বেশি হতে পারে।
নিউমোনিয়া বেশিরভাগ ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়া যুক্ত এটা এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে সংক্রমণ হতে পারে। সাধারণত শরৎকাল, শীতকাল এবং বসন্তের শুরুতে হয় এটি হতে পারে। শিশুরা অন্যদের সাথে খেলাধূলা বা মেলামেশা করলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। কারণ শিশুর নিউমোনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা শীতের পোশাক বা ঠাণ্ডা দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
নিউমোনিয়া হলে শ্বাসকষ্টের শুরু হতে পারে তবে অন্যান্য আরও নির্দিষ্ট লক্ষণগুলো হলো:
** কাশি
** দ্রুত শ্বাস নেওয়া
** পাঁজর এবং স্তনের হাড়ের মাঝখানে এবং চারপাশে ত্বকসহ দেবে যাওয়া
** নাকের ছিদ্র প্রশস্ত হওয়া
** বুকে ব্যথা, বিশেষ করে কাশি বা গভীর শ্বাস নিলে
** রক্তপ্রবাহে অক্সিজেন কমে যাওয়ার কারণে ঠোঁট বা নখে নীলচে হয়ে যাওয়া
যদিও নিউমোনিয়া নির্ণয় সাধারণত লক্ষণ, উপসর্গ এবং পরীক্ষার ভিত্তিতে করা হয় তবে কখন কখন বুকের এক্স-রে কলে নিশ্চিত করা হয়।
নিউমোনিয়া চিকিৎসা
নিউমোনিয়া যদি ভাইরাস এর কারণে হয় তখন সাধারণত বিশ্রাম এবং জ্বর নিয়ন্ত্রণ ছাড়া অন্য কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। কাশি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করা হয় ওষুধ। ভাইরাল নিউমোনিয়া সাধারণত কয়েক দিন পরে ঠিক হতে শুরু করে। যদিও কাশি কয়েক সপ্তাহ ধরে থাকতে পারে।
নিউমোনিয়া ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট কিনা তা বলা কঠিন। প্রথমে আপনার শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ একটি অ্যান্টিবায়োটিক লিখে দিতে পারেন। অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স অবশ্যই ঠিকভাবে শেষ করতে হবে। না হলে এটি আর কাজ করবে না। কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে যার ফলে সংক্রমণ ফিরে আসতে পারে যদি আপনি অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স শেষ না করে বন্ধ করে দেন। সমস্যা অনুযায়ী ডাক্তার বাকি আরো ওষুধ দিয়ে থাকেন।
নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে আবার নিতে হবে:
** অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা সত্ত্বেও জ্বর থাকছে
** জ্বর চলে যায় এবং কয়েকদিন পর আবার ফিরে আসে
** শ্বাসকষ্ট
** দুর্বল বা বেশি বেশি ঘুমানো
** শরীরের অন্য কোথাও সংক্রমণ: লাল, ফোলা জয়েন্ট, হাড়ের ব্যথা, ঘাড় শক্ত হওয়া, বমি হওয় বা অন্যান্য নতুন লক্ষণ
সূত্র : হেল্দিচাইল্ড অর্গানাইজেসন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-