কক্সবাজার প্রতিনিধি •
কক্সবাজারে ১৩ লাখ ইয়াবা পাচারের দায়ে এক রোহিঙ্গাসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প-১৩ এর ব্লক-এইস-১৬ এর মো. বশির আহমদ ও আয়েশা খাতুনের ছেলে মো. আয়াজ (৩৪), কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পাওয়ার হাউজ দক্ষিণ হাজীপাড়ার মৃত আবদুল মজিদের ছেলে আবুল কালাম (৩৭), খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার পঞ্চরাম পাড়ার মকবুল আহমদের ছেলে আজিমুল্লাহ (৪৩) এবং একই এলাকার ফয়জুল হকের ছেলে আবুল কালাম (৩৭)। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এই রায় ঘোষণা করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম আব্বাস উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় র্যাব-১৫ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার শহরের মাঝিরঘাটে খুরুশকুল থেকে একটি ফিশিং বোট আটক করে। একইসঙ্গে ফিশিং বোটে থাকা মো. আয়াজ ও মো. বিল্লালকেও আটক করা হয়। এ সময় র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও ৪-৫ জন পালিয়ে যায়। পরে ফিশিং বোট তল্লাশি করে ১৩ লাখ ইয়াবা, ১০ হাজার ৯’শ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাব-১৫ এর নায়েব সুবেদার মো. হারুনর রশীদ বাদী হয়ে উল্লিখিত ২ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণির ১০(গ)/৩৮/৪১ ধারায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় মো. আয়াজ ও মো. বিল্লাল তাদের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। তারা জবানবন্দিতে পলাতক আসামি আজিমুল্লাহ ও আবুল কালামের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ এর এসআই মোহাম্মদ সোহেল সিকদার ২০২১ সালের ১০ জুন আদালতে মামলার চার্জশিট দেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-