কক্সবাজার জার্নাল ডেস্ক:
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা থেকে ফরিদপুরে গণসমাবেশে যোগ দিতে নৌপথে রওনা হয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মী। যানবাহন বন্ধ থাকা, ধরপাকড় ও হয়রানি এড়াতে নদী পথ বেছে নিয়েছেন তারা। উপজেলার দত্তপাড়া, পাচ্চর, সন্ন্যাসীর চর, বন্দরখোলা, পাচ্চর, কাঁঠালবাড়ী ও কুতুবপুর ইউনিয়নের প্রায় হাজারো নেতাকর্মী ট্রলারে সমাবেশে যাচ্ছেন।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) দিনগত রাত ২টা থেকে শনিবার (১২ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত চারটি ট্রলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীরবর্তী মাদবরেরচর হাটের কাছ থেকে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
সকালে মাদবরেরচর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমারাত ব্যাপারী বলেন, ‘গণসমাবেশে যোগ দিতে ঘাট থেকে তিনটি ট্রলারে আমরা রওনা হয়েছি। এসব ট্রলারে আমাদের প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী আছেন। ট্রলারগুলো এখন ফরিদপুরের কাছাকাছি আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিবচর থেকে কোনো বাস, মাইক্রোবাস ভাড়া পাওয়া যায়নি। পরে বড় দুটি ট্রলার ভাড়া করি। কিন্তু রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। উপায় না পেয়ে ছোট তিনটি ট্রলার ভাড়া করে রওনা হয়েছি। নেতাকর্মীদের নিয়ে ফরিদপুর পৌঁছানোর আর কোনো পথ ছিল না। তাই নৌপথেই রওনা হয়েছি।’
এদিকে মাদবরেরচর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম রেজার নেতৃত্বে আরও একটি ট্রলার ফরিদপুর যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের ভাড়া করা বড় ট্রলারে যেতে বাধা দেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। পরে ওই ট্রলার রেখে অন্য ট্রলার ভাড়া করি। বড় ট্রলারে রাখা আমাদের খাবারগুলোও আনতে পারিনি। বর্তমানে আমরা ফরিদপুরের সিঅ্যান্ডবি ঘাটের কাছাকাছি আছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদবরের চর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর হাওলাদার অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে বিএনপির কোনো লোককে বাধা দেওয়া হয়নি। কয়েকদিন আগে আমার চোখের অপারেশন করিয়েছি, এখন বাড়িতেই বিশ্রামে আছি। জানামতে কোনো নেতাকর্মী সমাবেশে তাদের যেতে বাধা দেয়নি। তারা হয়তো হাইলাইট হওয়ার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করেছে।’
জাগোনিউজ২৪
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-