কক্সবাজারে ১০১ ইয়াবা কারবারির মামলায় রায় ঘোষণার তারিখ জানা যাবে আজ

বিশেষ প্রতিবেদক •

কক্সবাজারের টেকনাফে প্রথম দফায় আত্মসমর্পনকারি ১০১ ইয়াবা কারবারিদের মামলায় রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ হবে আজ সোমবার (৭ নভেম্বর)।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৪২ ধারা বলে আসামীদের চুড়ান্তভাবে চিহ্নিত করে রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করবেন।

এইসব তথ্য জানিয়েছেন মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।

তিনি জানান, গত ৩০ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টেকনাফ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএমএস দোহা এর সাক্ষ্য প্রদানের মধ্যদিয়ে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলায় মোট ২১ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেছে আদালতে। বর্তমানে মামলার সকল আসামী জামিনে আছেন।

পিপি জানান, ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার টেকনাফ সদরের টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে ১০২ জন আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারি ও গডফাদার সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা, ৩০ টি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও ৭০ রাউন্ড গুলিসহ আত্মসমর্পণ করেন।

ওইদিনই আত্মসমর্পণকারী ১০২ জনকে আসামী করে টেকনাফ মডেল থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়। বাদী হয়ে মামলাটি করেন টেকনাফ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (অপারেশন) শরীফ ইবনে আলম। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয় পরিদর্শক এবিএমএস দোহাকে।

মামলা দায়েরের দিনই আদালতের মাধ্যমে সকল আসামীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। ১০২ জন আসামীর মধ্যে মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে ২০০৯ সালের ৭ আগস্ট মোহাম্মদ রাসেল নামে এক আসামী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্ন ফারাহ এর আদালত ১০১ আসামীর বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

পরবর্তীতে মামলাটি বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়। একই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল সকল আসামীর উপস্থিতিতে শুনানী শেষে মামলার চার্জ গঠন করেন। মামলার বিবরণী মতে, আত্মসমর্পনকারিরা সকলেই সরকারের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি ও গডফাদার। যেখানে উখিয়া টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির ভাই সহ ৮ জন নিকট স্বজন রয়েছে।

২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফায় আরও ২১ ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পন করে ছিল। এ মামলাটি এখন বিচারাধীন রয়েছে।

আরও খবর