রোহিঙ্গা নেতা হত্যাকাণ্ড: আদালতেই সাক্ষীকে গলা কেটে হত্যার হুমকি আসামির

বিশেষ প্রতিবেদক •

সাক্ষ্যগ্রহণের সময় সাক্ষীকে গলা কেটে হত্যার হুমকি দিয়েছেন এক আসামি। মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি আমলে নিয়ে আসামি ও তাঁর আইনজীবীকে সতর্ক করেছেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, হামিদ মাঝি ও নূরে আলম নামে দু’জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। নূরে আলম যখন সাক্ষ্য দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন এক আসামি তাঁকে গলা কেটে হত্যার হুমকি দেন। আইনি জটিলতার কারণে আসামির নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

এ নিয়ে গত দু’দিনে এই মামলায় তিন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিলেন। এর আগে সোমবার মামলার বাদী ও এক নম্বর সাক্ষী নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবউল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।

আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার কুতুপালংয়ে নিজ সংগঠনের কার্যালয়ে মুখোশধারী বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন। এর পরদিন তাঁর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ সাড়ে আট মাস তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উখিয়া থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দীন ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে সাতজনের নাম-ঠিকানা সঠিক পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে মামলা থেকে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা। এ ছাড়া অভিযোগপত্রে ৩৮ জন সাক্ষী করা হয়েছে।

বর্তমানে মুহিবুল্লাহর পরিবারের ২৫ সদস্য কানাডায় রয়েছেন। দুই দফায় তাঁরা জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার সহায়তায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কানাডা পাড়ি জমান।

আরও খবর