বৈরী আবহাওয়া: প্রবালদ্বীপ থেকে ফেরত আসলো ৩৫০ পর্যটক!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •


ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। কক্সবাজার উপকুলে জারি করা হয়েছে ৩নং সতর্কতা সংকেত।
২৪ অক্টোবর (সোমবার) থেকে বৈরী আবহাওয়া শিথিল না হওয়া পর্যন্ত প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন নৌ-রুটের পর্যটকবাহী জাহাজসহ সাগরে চলাচলকারী সমস্ত নৌযান গুলো বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

এদিকে প্রবালদ্বীপে বেড়াতে এসে আগে থেকে অবস্থান করা প্রায় সাড়ে তিনশত পর্যটককে কক্সবাজারে ফিরিয়ে আনার জন্য ২৩ অক্টোবর (রবিবার) বিকাল আড়াইটার দিকে শনিবার থেকে দ্বীপে অবস্থানকারী পর্যটকদের নিয়ে এমভি কর্ণফুলী জাহাজ সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেয়।
তবে রবিবার সকালে জাহাজটি যাওয়ার সময় ১২০ জন পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিনে পৌছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, সাগর উত্তাল বৈরী আবহাওয়া ৩নং সতর্কতা সংকেত জারি হওয়ায় দ্বীপে থাকা প্রায় সাড়ে তিন’শ পর্যটককে সাথে জাহাজটি সেন্টমার্টিন থেকে বিকেলে কক্সবাজার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে স্থানীয় লোকজনের ক্ষয়ক্ষতি রোধে সাইক্লোন শেল্টার ও বহুতল ভবনগুলো খোলা রাখার জন্য ইউনিয়ন পরিষদকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দ্বীপের মানুষের জন্য শুকনা খাবার,
পানিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিশ্চিত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, ঘূণিঝড়ের প্রভাবে সকাল থেকে দিনভর আকাশ মেঘাচ্ছন রয়েছে। সোমবার সকাল থেকে জাহাজ চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। আগে দ্বীপে ঘুরতে এসে কিছু পর্যটক দ্বীপে থেকে যায়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে তাদের বেশির ভাগই আজ কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিন পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি কর্ণফূলীর পরিচালক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর জানিয়েছেন,
রবিবার ১২০ জন পর্যটক নিয়ে জাহাজটি সেন্ট মার্টিনে পৌঁছে। বিকাল সাড়ে তিনটায় সেখানে থেকে যাওয়া পর্যটকসহ সাড়ে তিনশত যাত্রী নিয়ে জাহাজ কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

আবহাওয়া দপ্তর সুত্রে জানাযায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। কক্সবাজার, মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আরও খবর