গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত ডাক্তার’র চরম অবহেলার কারণে পেটের যন্ত্রনায় অকালে মারা গেলো রোগী।
তথ্য নিয়ে জানা যায়, ২০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) টেকনাফ পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ড কে কে পাড়া এলাকার হাজ্বী মোহাম্মদ আলীর এক মাত্র পুত্র ফিরোজ মানিক (৩৩) পেটের ব্যাথা নিয়ে টেকনাফ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার সিনথিয়া প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উক্ত হাসপাতালে ভর্তি প্রদান করে।
গতকাল থেকে দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও রোগীর চিকিৎসার কোন উন্নতি হয়নি। অবশেষে ২১ অক্টোবর (শুক্রবার) গভীর রাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত রোগী পেটের আরও প্রচন্ড আকার ধারণ করে।
এদিকে রোগীর আত্মীয় স্বজনেরা রাতে ডিউটি থাকা কর্তব্যরত ডাক্তার শোভন দাশকে বার বার ফোন করেও ঐ ডাক্তার’র ফোন রিসিভ করেনি। কারন তখন তিনি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
ডাক্তার না আসার কারনে অবশেষে শুক্রবার সকাল
৮ টার দিকে পেটের যন্ত্রনা নিয়ে রোগী শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
রোগীর পরিবারের দাবী কর্তব্যরত ডাক্তারের চরম অবহেলার কারনে তাদের এক মাত্র ছেলেটি অকালে মারা গেছে।
ফিরোজ মারা যাওয়ার পর তার স্বজনেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে গণমাধ্যম কর্মিদের জানান টেকনাফ হাসপাতালে ডাক্তার এবং নার্সরা ভর্তী রোগীদের চরম অবহেলা করছে। উক্ত অবহেলায় তাদের সন্তান ফিরোজ চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছে।
পাশাপাশি রোগীর পরিস্থিতি অবনতি দেখেও তারা কেন উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করে নাই বলে অভিযোগ তুলেছেন।
অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক হচ্ছে,ডাক্তার শোগন দাস ও সিনথিয়া। গতকাল দিনের ডিউটিতে প্রথমে দায়িত্বে ছিল সিনথিয়া।
সে সঠিক সময়ে চিকিৎসা দিতে পারেনি।শুক্রবার সকাল থেকে দায়িত্বে ছিল ডাক্তার শোভন দাস। সে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় রোগীর সাথে এক বারও দেখা করেনি।
শোভন দাস কখন আসবে জানতে চাইলে নার্স বলে স্যার বিশ্রামে আছে বলে রোগীর স্বজন ধমক দেয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-