বহুল প্রতিক্ষিত জেলা পরিষদ নির্বাচন আজ: কে হাসছে শেষ হাসি

এম এ আজিজ রাসেল •


আজ ১৭ অক্টোবর বহুল প্রতিক্ষিত জেলা পরিষদ নির্বাচন। এবারের নির্বাচন খুবই উত্তেজনা ও রোমাঞ্চকর। তাই সবার নজর নির্বাচনের দিকে। কে হাসবে শেষ হাসি, কার বিজয় হচ্ছে এ নিয়ে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষণ। তবে চূড়ান্ত ফলাফলের প্রতিক্ষায় রয়েছে জেলাবাসী।

নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করতে সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। সকাল ৯টা থেকে শুরু ভোট গ্রহণ। আর শেষ হবে ২টায়। ইতোমধ্যে জেলার ৯ টি কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে ইভিএম মেশিনসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম। নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে ৩ জন পুলিশ ও ৪ জন আনসার সদস্য দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।

পাশাপাশি পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ড স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভূমি দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনের জন্য জুডিশিয়াল ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শিমুল শর্মা।

এছাড়াও প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এসএম শাখাওয়াত হোসেন।

কক্সবাজার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনিক ও আইনশৃঙ্খলা উভয় দিকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্র থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায়। ইভিএম পদ্ধতিতে শতভাগ স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ চলবে। কেউ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে জেলা প্রশাসক বলেন, ভোট হলো অত্যন্ত গোপনীয়তার বিষয়। এখানে কে কাকে ভোট দিবে তা জানা অসম্ভব। ভোট দেওয়ার হিসেব নেওয়ার বিষয়টি একান্ত ব্যক্তিগত মন্তব্য।

কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে এবারের ৯টি ভোট কেন্দ্র ও ভোটার সংখ্যা হলো টেকনাফ উপজেলা পরিষদ হল রুম ভোট কেন্দ্রে ভোটার ৯৩ জন, উখিয়া উপজেলা পরিষদ হল রুম ভোট কেন্দ্রে ভোটার ৬৮ জন, সদর উপজেলার কক্সবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোটার ৮২ জন, রামু উপজেলা পরিষদ হল রুম ভোট কেন্দ্রে ভোটার ১৪৫ জন, ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোটার ৬৫ জন, চকরিয়া উপজেলা পরিষদ হল রুম ভোট কেন্দ্রে ভোটার ২৪৯ জন, পেকুয়া উপজেলা পরিষদ হল রুম ভোট কেন্দ্রে ভোটার ৯৪ জন, মহেশখালী উপজেলা পরিষদ হল রুম ভোট কেন্দ্রে ভোটার ১১৭ জন ও কুতুবদিয়া উপজেলার কুতুবদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোটার ৮১ জন।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৪৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তৎমধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী পেয়েছেন মোটর সাইকেল, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান নুরুল আবছার পেয়েছেন তালগাছ, শাহীনুল হক মার্শাল পেয়েছেন আনারস এবং মঙ্গল পার্টি নেতা জগদিশ বড়ুয়া প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। ৯টি উপজেলার ৭১ ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৯৯৪ জন।

সংরক্ষিত সদস্য পদে ১ নং ওর্য়াড থেকে জেলা পরিষদ সদস্য উখিয়ার হলদিয়া পালং আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফ জাহান কাজল (দোয়াত কলম), তছলিমা আক্তার রুমানা (টেবিলঘড়ি), তাছলিমা আক্তার (ফুটবল)। ২নং ওর্য়াড থেকে মশরফা জান্নাত—বই, চম্পা উদ্দিন—টেবিল ঘড়ি, সালেহা আক্তার আখি—ফুটবল, হুমাইরা বেগম—হরিণ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। ৩নং ওয়ার্ড থেকে আসমা উল হুসনা— টেবিল ঘড়ি, তানিয়া আফরিন—দোয়াত কলম, রেহেনা খানম—ফুটবল এবং হুমাইরা বেগম— বই প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

সাধারণ সদস্য পদে ১ নং ওয়ার্ড থেকে জাফর আলম—তালা, মোঃ শফিক মিয়া—টিউবওয়েল। ২নং ওর্য়াড থেকে আবুল মনসুর চৌধুরী—টিউবওয়েল, হুমায়ুন কবির চৌধুরী—তালা। ৩নং ওয়ার্ড থেকে মাহমুদুল করিম মাদু—হাতি, তাহমিনা নুসরাত জাহান লুনা—তালা, মোঃ রুহুল আমিন—অটোরিক্সা। ৪নং ওয়ার্ড থেকে ফরিদুল আলম— হাতি, শামসুল আলম মন্ডল—তালা, মোস্তাক আহমদ—অটোরিক্সা, নুরুল আবছার—ঘুড়ি, মোঃ মনজুরুল মুর্শেদ কাদের বৈদ্যুতিক পাখা, মোঃ আবদুল মজিদ—টিউবওয়েল। ৫নং ওয়ার্ডে আরিফুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ৬ নং ওয়ার্ড থেকে সোলতান আহমেদ—ঘুড়ি, মুহাম্মদ ফয়সাল— হাতি, মোঃ আবু তৈয়ব—টিউবওয়েল, মোঃ জাহাঙ্গির আলম—তালা, এটিএম জিয়া উদ্দিন চৌধুরী জিয়া—বৈদ্যুতিক পাখা। ৭নং ওয়ার্ডে মোঃ আবদুল হামিদ—ক্রিকেট ব্যাট, মোঃ জয়নাল আবেদীন—হাতি, মোলতান মোহাম্মদ রিপন—ঢোল, নুরুল আবছার—বৈদ্যুতিক পাখা, সেলিনা আক্তার—উটপাখি, মোহাম্মদ আজমগীর—টিউবওয়েল। ৮ নং ওয়ার্ডে এম. আজিজুর রহমান—তালা, শহীদুল ইসলাম মুন্না—হাতি, মোঃ সাইফুল কাদির—টিউবওয়েল। ৯নং ওয়ার্ডে কফিল উদ্দিন—তালা, আবু জাফর ছিদ্দিকী—হাতি, ছরওয়ার আলম সিকদার—ঘুড়ি এবং নুরুল ইসলাম—টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

আরও খবর