কোটবাজার সিএনজি সমিতির টোকেন বাণিজ্য বন্ধ ও দুর্নীতি তদন্তের দাবীতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

উখিয়ার কোটবাজার ফোর স্ট্রোক সিএনজি মালিক ও চালক কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি, টোকেন বানিজ্য, অবৈধ পন্থায় সদস্য অন্তর্ভুক্তি, বহিষ্কার ও দীর্ঘ ১৩ বছর বিনা নির্বাচনে শ্রমিকদের স্বার্থ হননের প্রতিবাদে এবং সঠিক সময়ে নির্বাচনের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২ অক্টোবর) বিকাল ৪ টায় সমিতির সাধারণ সদস্য, শ্রমিক ও মালিক কর্তৃক উপজেলার কোটবাজার স্টেশন চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দু সালাম মধু, সহ সভাপতি শওকত হোসেন শকু, সাবেক সভাপতি এনায়েত উল্লাহ চৌধুরী টিটু, কোষাধ্যক্ষ নেজাম উদ্দিন কোম্পানি, তাতু বড়ুয়া, সদস্য খলিলুর রহমান, আক্তার কামাল প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেলোয়ার হোসেন কোম্পানিসহ বক্তারা।

প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দু সালাম মধু বলেন, ২০০৭ সালে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কোটবাজার ফোর স্ট্রোক সিএনজি মালিক সমিতি গঠন করি। এবং আমি সভাপতি নির্বাচিত হই। এর পরে আমি সরে গিয়ে রুহুল আমিনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করে দিয়েছিলাম। এর পর থেকে আজ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসেনি।

বক্তরা বলেন দীর্ঘদিন সভাপতি থাকায় রুহুল আমিন সাধারণ সম্পাদক শরীফ মাহমুদ চৌধুরীর ভাগ্যের চাকা ঘুরলেও শ্রমিকদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। তাদের মৃত্যু ভাতা থেকে শুরু করে দুর্ঘটনায় আহত ভাতা দেয়া হয়না। প্রতিনিয়ত অবমূল্যায়ন করা হয়েছে শ্রমিকদের।

মানববন্ধনের পৃষ্ঠপোষক ও সভাপতি প্রার্থী এনায়েত উল্লাহ চৌধুরী টিটু বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে অত্র সমিতির নির্বাচন দেয়া হয়নি। নির্বাচনের সময় আসলে তারা সমিতির ৯ জন কমিটির মধ্যে আতাত করে নির্বাচন অফিস ম্যানেজ করে সদস্যদের টাকা লুটেপুটে খাওয়ার জন্য ভুয়া নির্বাচন দেখিয়ে তারা পুনর্বহাল থাকে।

তারা শ্রমিকদের অধিকার ও টাকা লুন্ঠন করেছে। এখানে কোন সিএনজির ড্রাইভার মরে গেলে মৃত্যু ভাতা পায়না, আহত হলে আহত ভাতা পায় না। কোন সমস্যায় পড়লে সমিতির কাউকে পাওয়া যায় না। তাহলে আপনারা দৈনিক ৬০-৭০ টাকা করে প্রতিমাসে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা লাইনের টাকা আসে। এই টাকা যায় কোথায়? এই লাইনের টাকা প্রশাসনকে কিছু দিয়ে ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে কিছু দিয়ে বাকী টাকা তারা লুটপাট করে। সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ মাহমুদ চৌধুরীর পকেট ভারী করেছে ঐ টাকায়। সাধারণ সম্পাদক শরীফ মাহমুদের বাসায় ল্যাম্প জালানোর টাকা ছিলো না, সমিতির টাকায় তার বাসায় এসি লাগানো হয়েছে।

এছাড়া মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি রুহুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অসহযোগিতা ও টোকেন বানিজ্যের অভিযোগ তুলেন ও তাদের অপসারণ দাবী করেন বক্তারা।

আরও খবর