কক্সবাজারে এবারে ৩০৫ টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা

শাহ নিয়াজ •

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব, শারদীয় দূর্গাপূজা শুরু হবে আগামী পহেলা অক্টোবর শনিবার থেকে। ইতোমধ্যে মহালয়ার শুভ আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয়েছে শারদীয় দূর্গাপূজার ক্ষণগণনা।

বিভিন্ন মণ্ডপে পূজা ও ভক্তির মাধ্যমে গত রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে মহালয়ার ধর্মীয় আচার। সনাতন ধর্মমতে, দুর্গাপূজা শুরুর সাত দিন পূর্বে দুর্গা দেবীর আনুষ্ঠানিক প্রার্থনা হিসেবে মহালয়া বিবেচিত হয়।আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর দিনে দুর্গাপূজা শুরু হবে। এবার দেবী দুর্গা, মহা-ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে,গজ (হাতি) চড়ে মর্ত্যলোকে আসবেন। আগামী ৫ অক্টোবর বুধবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে হিন্দুধর্মালম্বীদের বৃহৎ এ উৎসব শেষ হবে।

দূর্গাপূজা উপলক্ষে ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ডপ তৈরীর কাজ চলছে। প্রতিমা শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা তৈরীতে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিমা বুঝিয়ে দিতে দিন-রাত কাজ করছেন তারা। পূজা উদ্যাপন পরিষদের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ পূজা সফল সম্পন্ন করতে বিভিন্ন দপ্তরের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন।

জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জ্বল কর ও সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশ স্বাক্ষরিত তালিকা সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার জেলায় এবারে ৩০৫টি মণ্ডপে শুরু হচ্ছে এ উৎসব। এর মধ্যে ১৪৮টিতে প্রতিমা পূজা ও ১৫৭টিতে ঘট পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তারমধ্যে ১৮টি মন্ডপকে ঝূঁকিপূর্ণ হিসাবে সনাক্ত করা হয়েছে।

উপজেলা ওয়ারী পূজার সংখ্যা হলো, কক্সবাজার সদর উপজেলায় ১৭টিতে প্রতিমা পূজা ও ১১টি ঘট পূজা, ঈদগাঁও উপজেলায় ১৭টি প্রতিমা পূজা ও ৯টিতে ঘট পূজা, কক্সবাজার পৌরসভায় ১১টিতে প্রতিমা পূজা ও ১০টিতে ঘট পূজা, রামু উপজেলায় ২২টিতে প্রতিমা পূজা ও ১০টিতে ঘট পূজা, চকরিয়া উপজেলায় (পৌরসভাসহ) ৪৮টিতে প্রতিমা পূজা ও ৪৩টিতে ঘট পূজা, পেকুয়া উপজেলায় ৫টিতে প্রতিমা পূজা ও ৪টিতে ঘট পূজা, কুতুবদিয়া উপজেলায় ১৩টিতে প্রতিমা পূজা ও ৩২টিতে ঘট পূজা, মহেশখালী উপজেলায় (পৌরসভাসহ) ১টিতে প্রতিমা পূজা ও ৩০টিতে ঘট পূজা, উখিয়া উপজেলায় ৭টিতে প্রতিমা পূজা ও ৮টিতে ঘট পূজা, টেকনাফ উপজেলায় ৬টিতে প্রতিমা পূজা ও উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১টিতে প্রতিমা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তারমধ্যে উখিয়া উপজেলার ৭টি, কক্সবাজার পৌরসভার ৫টি ও পেকুয়া উপজেলার ৬টি মন্ডপ ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশ বলেন, সারাদেশের মত কক্সবাজারবাসীও এবার পূজার আনন্দে ভাসবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে জেলার সর্বত্র এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। পূজা সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পন্ন করা হয়েছে মতবিনিময় সভা। বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে গত দুই বছর সরকারের স্বাস্থ্য বিধি অনুযায়ী সীমিত পরিসরে উদযাপন করা হয়েছিল দূর্গাপূজা। বর্তমানে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসায় ব্যাপকভাবে দূর্গা পূজা পালন করা হবে। জেলায় ১৮টি পূজা মন্ডপকে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে সনাক্ত করা হয়েছে। এবার সব মণ্ডপেই নিরাপত্তা নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও অনেক বেশি সক্রিয় রয়েছে।

আরও খবর