খেলাধুলায় উপযুক্ত প্রশিক্ষণে কক্সবাজারে জাতীয় আন্তঃস্কুল ৪৯ তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২২-এ ফুটবলে জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন উখিয়া ভালুকিয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের নারী ফুটবল টিমকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
২৬ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এসে বিজয়ীদের সংবর্ধনা দেয় প্রশিক্ষণ দাতা সংস্থাগুলো।
উখিয়া’র ভালুকিয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয় হল রুমে স্কুল প্রধান শিক্ষক লিয়াকত আলী’র সভাপতিত্বে আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দেন, স্বনামধন্য ক্রীড়া সহযোগিতাকারী প্রতিষ্টান ক্লাবু-নেদারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক Jan Hendrik Casimir Boron Van মেসি-নেইমারদের বিশ্বখ্যাত ফ্রেঞ্চ ফুটবল ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি) পরিচালক Nicolas David Seres, Eva Pascale Duprat & Alexander Frddharth,
তারা জানান, স্থানীয় স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য এবং রোহিঙ্গা শিশু-কিশোরদের জন্য বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ বাস্তবায়ন করছে ব্যাতিক্রমী এক প্রকল্প। শুরু থেকেই এ ধরণের মহৎ উদ্যোগকে সহযোগিতা করে আসছে জাতিসংঘ শরাণার্থী বিষয়ক হাই কমিশন ইউএনএইচসিআর অফিস।
ভ্রামম্যান স্পোর্টস লাইব্রেরী এবং ক্লাব সেন্টারের মাধ্যমে ভালুকিয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয়সহ কক্সবাজারে উখিয়ার শরণার্থী এলাকার ৬টি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। বিশ্বখ্যাত ফ্রান্সের ফুটবল ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি) এবং শরণার্থী ক্যাম্পে খেলাধুলায় সহায়তাকারী স্পোর্টিং ক্লাব প্রতিষ্ঠাতা ডাচ সংস্থা- ক্লাবু।
প্রশিক্ষণের আয়োজক সংস্থা ফ্রেন্ডশিপের সহকারী পরিচালক আহমেদ তৌফিকুর রহমান জানান, রোহিঙ্গাদের আগমনে স্থানীয়দের লেখাপড়া এবং প্রতিভার বিকাশ অনেকটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। এমন সমস্যা সমাধানে প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে উখিয়ার শরণার্থী এলাকার রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় শিশুদেরকে দেয়া হয় খেলাধুলায় প্রশিক্ষণ। কক্সবাজার উখিয়া উপজেলার সোনাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মরিচ্যা পালং মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভালুকিয়া পালং মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পালং আইডিয়াল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, উখিয়া সরকারী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পালংখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ মোট ৭টি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দেয়া এমন প্রশিক্ষণে সুফল বয়ে আনে তারা।
এনজিও ফ্রেন্ডশিপ সম্পর্কে:
যেখানে জীবন-জীবিকা হুমকিতে, সেসব প্রন্তিক এলাকার জনগোষ্ঠিকে স্বাবলম্বী করা এবং স্থানীয় জনগনের ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছে উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা ‘ফ্রেন্ডশিপ’। ২০০২ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষকে সহযোগিতা করে আসছে সংস্থাটি। দুর্গম প্রত্যন্ত এলাকার পাশাপাশি যেখানকার বাসিন্দারা জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার এমন জনগোষ্ঠিকে স্বাবলম্বী করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে সফলতার মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ফ্রেন্ডশিপ। সংস্থার আছে ৩ হাজারের বেশি কর্মচারী, যাদের ৫০ ভাগ স্থানীয় বাসিন্দা। ফ্রেন্ডশিপের আছে আন্তর্জাতিক শক্তিশালী নেটওয়ার্ক ও দৃষ্টিভঙ্গি, যেখানে মানুষের আশা ও মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার সমান সুযোগ থাকে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-