সীমান্তের ৩২ কিঃমিঃ এলাকাজুড়ে বর্মী বাহিনীর বিচরন : আতংকে জুম চাষী ও স্থানীয়রা

আবদুল হামিদ •

বাংলাদেশের মায়ানমার সীমান্তে ঘুমধুম ইউনিয়নের লোকজনের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। দুই দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার সকালে মিয়ানমারে ফের গোলাগুলি শুরু হয়। সীমান্তসংলগ্ন ঘুমধুমের লোকজন সকাল ৮টার দিক থেকে অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনে। এটা চলে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত।

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, তবে মঙ্গলবার মিয়ানমারের নিক্ষিপ্ত গোলা বাংলাদেশ সীমান্তের অভ‍্যন্তরে পড়েনি। তবে স্থানীয়দের মধ্যে ফের উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। আজ সকালে সীমান্তসংলগ্ন মিয়ানমারে গোলাগুলির ঘটনায় বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্তে বিজিবিকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে।

এদিকে মঙ্গলবার সীমান্তের ঘুমধুম, গর্জনবুনিয়া বাইশ পারী চাকডালা আশারতলী সহ বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে লোকজনের সাথে কথা বলে জানাযায় , দুই দিন বন্ধ থাকার পর সীমান্তে ফের গোলাগুলির ঘটনায় ঘুমধুম, ইউনিয়ন, সদর ইউনিয়ন, সহ সীমান্ত এলাকায় বসবসরত মানুষের মাঝে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। বিজিবি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

৪ সেপ্টেম্বর রোববার সকাল থেকে সোমবার পর্যন্ত কোনো ধরনের গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা ও রেজু গর্জনবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উক্যচিং তংচংগা।

গর্জনবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ হামজা সাংবাদিকদের বলেন প্রতিদিন বর্মী (মিয়ানমার) সামরিক বাহিনীর গোলাগুলিতে বিদ্যালয়ে বসেই শোনা যেত বিকট শব্দ। ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ছিলাম শঙ্কায়। তাই বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমাকে অবহিত করেছিলাম।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবির এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় আমাদের (বিজিবি) নজরদারি ও টহল সব সময়ই থাকে। তবে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় বিজিবি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।’

অপর দিকে সীমান্তের পাহাড়ী ভুমির জুম চাষী সদর ইউনিয়ন এলাকার বাসিন্দা উচিং থোয়াই মার্মা ও জামাল উদ্দিন সহ অনেকে জানান, বর্মী বাহিনীর প্রতিদিনের গুলা গুলি ও হেলিকপ্টার থেকে গোলা বর্ষনের কারনে জুমের পাকা ধান কাটা মুশকিল হয়ে পড়েছে। শত শত একর পাকা ধান নষ্ট হওয়ার পথে। তাছাড়া জুম ক্ষেতে উৎপাদিত ফল ফলাদি নষ্ট হওয়ার পথে । চাষীরা কান্না জড়িত অবস্থায় এই প্রতিবেদককে বলেন এই অবস্থা চলতে থাকলে তারা খাদ্য সংকটে পড়তে পারেন। জুমের ধান ও ফল ফলাদি নষ্ট হওয়ার সমুহ সম্ভাবনার কথা ও চাষীরা জানান।

আরও খবর