উখিয়ায় বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনায় আইনের আশ্রয় চায় ভুক্তভোগী পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক •
কক্সবাজারের উখিয়ায় জমি দখল নিতে লুটপাট ও জোরপূর্বক অবৈধভাবে একটি পরিবারকে ঘর ছাড়া করার ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার দক্ষিণ খয়রাতি পাড়ার মইত্তলী এলাকায় এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার উখিয়া থানায় এজাহার দায়ের করলেও এখনো পুলিশের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় পুরোপুরি আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। ফলে বাধ্য হয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে পরিবারটি।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ খয়রাতি পাড়ার মইত্তলী গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে শাহাব উদ্দিন ও মৃত সুলতান আহমদের ছেলে আবদুর রহমান এবং মৃত নুরুল ইসলামের জাহাঙ্গীর আলমের কুলুপ দৃষ্টি পড়ে একই এলাকার আবুল কালামের ছেলে আবদুস সালামের বসত-ভিটার উপর।

তারই ধারাবাহিকতায় ২২ আগষ্ট (সোমবার) অতর্কিতভাবে শাহাব উদ্দিন, আবদুর রহমান ও জাহাঙ্গীর বাহিনী আবদুস সালামের বসতভিটায় হামলা চালিয়ে বাড়ীঘর ভাঙচুর, মোবাইল ও স্বর্ণ লুটপাটসহ বসতভিটায় রোপনকৃত বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছ, কেটে করে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করার পাশাপাশি বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ মহিলার উপর হামলা চালায়।

বর্তমানে আবদুস সালাম পরিবার-পরিজন নিয়ে অন্যের বাড়ীতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন এবং তার শাশুড়ী হাসপাতালের বেডে শুয়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছেন।

অভিযোগকারী জানান, দীর্ঘ ২২ বছর পূর্বে আবেদা খাতুন দখলীয় যায়গায় ত্রিপলের চাওনি ও বেড়া দিয়ে বসতঘর নির্মাণ করে ৫ ছেলে মেয়ে নিয়ে আসবাস করে আসছিল৷ এমতাবস্থায় আমার বসতভিটা ঘর জবর দখলে নিতে সাহাব উদ্দিন, আব্দুর রহমান জাহাঙ্গীর আলম সহ ১০ থেকে ১২ জন সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে আমার ঘরটি ভেঙে দেয় এবং আমাকে মারধর করে।

জনতে চাইলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সৈয়দা হামজা জানান, আমাকে বিষয়টি আবেদার মেয়ে ফোন দিয়ে জানিয়েছিল। আমি তাদের কে বলেছি চিকিৎসা করার জন্য বলেছি৷ যেহেতু তারা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে সেহেতু থানায় যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবে সেভাবে হবে। একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে আবেদার জায়গাটা দখল করতে চাচ্ছে। শেষমেশ আবেদাকে মেরে ঘর ভেঙে দিয়েছি৷ বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

এদিকে, এই ঘটনায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১০-১২জনের জন্য উখিয়া থানায় এজাহার দায়ের করেন ভুক্তভোগী আবদুস সালামের স্ত্রী রাহেলা আক্তার। কিন্তু এজাহার দায়েরের পরেও অপরাধীদের বিরুদ্ধে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পুলিশ। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনহানির আশংকাসহ মানবেতর জীবন যাপন করছে আবদুস সালাম।

এ বিষয়ে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, এই সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর