বন্যপ্রাণী রক্ষার আগে বন রক্ষা করতে হবে

কক্সবাজার জার্নাল ডেস্ক:
দেশে অবাধে হাতি নিধন চলছে। গত কয়েক বছরে কমেছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হাতি। হাতি নিধনের এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক বছরে চিড়িয়াখানা ছাড়া দেশের আর কোথাও হাতির অস্তিত্ব থাকবে না বলে মনে করছেন বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা। তারা বলেন, হাতিসহ বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে হলে আগে বন রক্ষা করতে হবে।

বিশ্ব হাতি দিবস উপলক্ষে একটি ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন ৩৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের জোট ‘বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোটের (বিএনসিএ)’ নেতারা। শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকেলে জুম প্লাটফর্মে এই ওয়েবিনার হয়।

বিএনসিএ’র আহ্বায়ক এবং স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. গুলশান আরা লতিফা।

জোটের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের (আরডিআরসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজের পরিচালনায় ওয়েবিনারের অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিজিইডি) নির্বাহী পরিচালক আবদুল ওয়াহাব, নোঙরের চেয়ারম্যান সুমন শামস, পরিবেশ বিজ্ঞানের শিক্ষক ড. মাহমুদা পারভিন, বন্যপ্রাণী গবেষক আদনান আজাদ, ন্যাচার লাভিং পিপলের (এনএলপি) সভাপতি এহসানুল হক জসীম, এনভায়রনমেন্ট পিপলের প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ, মেরিন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের (এমজেএন) সাদিয়া চৌধুরী, আমিনুল মিঠু, শহীদ হাসান খান, নয়ন সরকার, আলমগীর হোসাইন ও স্বপন কুমার নাথ প্রমুখ।

বক্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আগামী দিনে হাতি সংরক্ষণ না করলে এবং মানুষের হাতে হাতি নিধন বন্ধ করতে না পারলে এক সময় বিলুপ্ত হয়ে যাবে প্রাণীটি।

গুলশান আর লতিফা বলেন, এশিয়ান হাতির একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তারা সহজে কাউকে আঘাত করে না। কিন্তু এখন তারা পাশবিক অত্যাচারের শিকার। এক সময় হাতিরঝিল ও পিলখানায় হাতি দেখা যেতো, হাতিরঝিল থেকে পিলখানায় হাতি নেওয়া হতো যত্ন করার জন্য। কিন্তু আজ আর সেই হাতি দেখা যায় না। হাতি কমতে কমতে দেশে এর সংখ্যা এখন প্রায় ২০০টি।

হাতি সংরক্ষণের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, হাতি রক্ষা করতে হলে হাতির আবাসস্থল সংরক্ষণ করতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়ে সংরক্ষিত বন তৈরির মাধ্যমে হাতি সংরক্ষণ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, হাতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বন্যপ্রাণী। হাতিসহ সব প্রকার বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে হলে আমাদের আগে বনাঞ্চল রক্ষা করতে হবে। দেশে বন থাকলে হাতি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণী থাকবে।
জাগোনিউজ২৪

আরও খবর