আল আমিন •
উচ্চমূল্যের নতুন মাদক এক্সট্যাসি নিয়ে উদ্বিগ্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এটি একটি মিথানিল ড্রাই অক্সি মেথাফিটামিন। মাদকটি ওষুধের মতো সেবন করে নেশাগ্রস্তরা। কেউ কেউ গুঁড়া করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে সেবন করে। এটি গুঁড়া করা হলে কোকেনের মতো দেখতে।
সেবনের সঙ্গে সঙ্গে সেবনকারীদের মনোজগৎ পরিবর্তন ঘটে। এই মাদক সেবনের ফলে মস্তিষ্ক বিকৃতি হয়ে যায়। অল্প বয়সে সেবনকারীরা মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। মাদকটি মিয়ানমার ও ভারত থেকে পাচার হয়ে দেশে ঢুকছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে বেশি ঢুকছে।
দেশে ইয়াবার কারবারিরা এই নতুন মাদকের পাচারের সঙ্গে জড়িয়েছে। চক্রটিকে চিহ্নিত করতে কাজ করছে র্যাব। এক্সট্যাসির কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকদিন আগে ঢাকার গুলশান থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এ বিষয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ‘এক্সট্যাসি মাদক বাংলাদেশে নতুন মাদক। এটি উচ্চবিত্তের লোকজন সেবন করে থাকে। তিনি আরও জানান, দেখতে ইয়াবার মতো। কিন্তু, এর রং আলাদা। অতিরিক্ত নেশা সৃষ্টি করে। চক্রটিকে চিহ্নিত করতে আমরা কাজ করছি।
র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা বিভাগের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ‘কক্সবাজার সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত নজরদারিতে আগের চেয়ে ইয়াবা পাচার কমেছে। আগে ঢাকার উচ্চবিত্তের সন্তানেরা যারা ইয়াবা সেবন করতো তাদের কাছে এক্সট্যাসি এখন পছন্দের।
সূত্র জানায়, চার হাত বদল হয়ে এই মাদক ঢাকা শহরে ঢুকছে। পাচারের প্রধান রুট সাতক্ষীরা এবং টেকনাফের সীমান্ত এলাকা। চারটি চক্র এই মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। এদের একটি বড় নেটওয়ার্ক ঢাকা এবং সীমান্ত এলাকা সাতক্ষীরায় গড়ে উঠেছে। তারা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই মাদক ঢাকা শহরে নিয়ে আসছে।
সূত্র জানায়, সীমান্তের ওপারের সঙ্গে বাংলাদেশের কারবারিরা যোগাযোগ করে বিভিন্ন পণ্যের মধ্যে এবং চোরাই পথে দেশে নিয়ে আসছে। এরপর সীমান্তে হাতবদল হওয়ার পর তারা জেলার মাদক কারবারিদের কাছে হস্তান্তর করছে।
পরে জেলার মাদক কারবারিরা তাদের সোর্সের মাধ্যমে ঢাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। তারা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।
সূত্র জানায়, এই মাদক উত্তর আমেরিকার একটি দেশে চোরাইভাবে উৎপাদন হয়ে থাকে। চোরাকারবারিরা ভারত ও মিয়ানমারকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে এই দেশে নিয়ে আসছে। চোরাকারবারিরা বেশি বিক্রি এবং বেশি দামের আশায় চোরাই পথে এই মাদক পাচার করছে। কেউ অ্যালকোহন জাতীয় পানীয় এর সঙ্গে মিশিয়ে এটি সেবন করছে।
সূত্র জানায়, কয়েকদিন আগে এই মাদকসহ সাঈদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তার কাছে এই মাদকের বিষয়ে একাধিক তথ্য পাওয়া গেছে। তার তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-