কাজ হলো কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান ঢাকায় পৌঁছে দেওয়া। এজন্য প্রতি চালানে ট্রাকচালক পেতেন ৫০ হাজার টাকা। আর ২০ হাজার টাকা যেতো হেলপারের হাতে। এই চালান দেখাশুনার জন্য আবার থাকতো একজন ম্যানেজার। এ জন্য তিনি পেতেন ৩০-৫০ হাজার টাকা।
সাধারণত টেকনাফ থেকে ঢাকায় বৈধ মালামাল নিয়ে কোনো ট্রাক এলে চালক পান ৫-৮ হাজার টাকা এবং হেলপার পান ২-৩ হাজার টাকা। তাই বেশি লাভের আশায় অসাধু ট্রাকচালক ও হেলপাররা মালামালের সঙ্গে ইয়াবা নিয়ে আসতেন।
শনিবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে এমনই একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-৫৪২৮) জব্দ করে র্যাব। এসময় ট্রাকের তেলের ট্যাংকিতে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় ১ লাখ ৯০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এছাড়া উদ্ধার করা হয় চারটি মোবাইল ও মাদক বিক্রির নগদ ৩১ হাজার ৭০০ টাকা।
ট্রাকে ঢাকায় ইয়াবা এনে চালক নিতেন ৫০ হাজার, সহকারী ২০
এসময় ম্যানেজার মো. আমিনুল ইসলাম (২৬), ট্রাকচালক মো. নুরুল ইসলাম (৪৮) ও হেলপার মো. হেদায়েত উল্লাহকে (২০) গ্রেফতার করা হয়।
রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, চক্রটি টেকনাফ থেকে ইয়াবা ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিতো। মূলত ট্রাকের মালিক সোহেলের নেতৃত্বে গত ৪-৫ বছর ধরে এই চক্রটি পরিবহন ব্যবসার আড়ালে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পাচার করে আসছে। চক্রটি পণ্যবাহী পরিবহনের চালক ও সহকারীকে মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ইয়াবা পরিবহন করতো। এই ইয়াবা পাচার চক্রের সদস্য সংখ্যা ৭-৮ জন।
র্যাব জানায়, জব্দ করা ইয়াবার বাজারমূল্য প্রায় ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-