মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কা: রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন বেঁচে ফেরা জুনায়েদ

ডেস্ক রিপোর্ট •

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জন নিহতের সেই ঘটনার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফেরা জুনায়েদ। তার মতে, রেলক্রসিংয়ের গেটম্যানের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার জুনায়েদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, গেটম্যানের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই আমার স্যার-বন্ধুরা অকালে চলে গেছে।

রোমহর্ষক সেই ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা গাড়িতে ১৮ জন ছিলাম। রেললাইনে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন এসে আমাদের মেরে দিয়েছে। ঐ সময় রেললাইনের ব্যারিকেড দেওয়া ছিল না, গেটেও কেউ ছিল না। যারা পেছনে বসেছিলাম সবাই পড়ে গেছি। আর গাড়িটিকে ট্রেন ঠেলে নিয়ে গেছে।

শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণা এলাকায় মহানগর প্রভাতী ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হন। তাদের ১০ জনই হাটহাজারীর জুগিরহাট আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টারের ছাত্র-শিক্ষক। অন্যজন মাইক্রোবাসের চালক।

নিহতরা হলেন- হাটহাজারি উপজেলার আজিম সাব রেজিস্ট্রার বাড়ির হাজি মো. ইউসুফের ছেলে মাইক্রোচালক গোলাম মোস্তফা নিরু, চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইলিয়াছ ভুট্টোর ছেলে মোহাম্মদ হাসান, একই ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়ার আবদুল হামিদের ছেলে জিয়াউল হক সজীব, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আজিজ মেম্বার বাড়ির জানে আলমের ছেলে ওয়াহিদুল আলম জিসান, মজিদ আব্বাস চৌধুরী বাড়ির বাদশা চৌধুরীর ছেলে শিক্ষক রিদুয়ান চৌধুরী, পারভেজের ছেলে সাগর ও একই এলাকার আবদুল ওয়াদুদ মাস্টার বাড়ির আবদুল মাবুদের ছেলে ইকবাল হোসেন মারুফ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোজাফফর আহমেদের ছেলে মোসহাব আহমেদ হিসাম, আব্দুল আজিজ বাড়ির মৃত পারভেজের ছেলে তাসমির হাসান, মনসুর আলমের ছেলে মো. মাহিম এবং ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবু মুসা খানের বাড়ির মোতাহের হোসেনের ছেলে মোস্তফা মাসুদ রাকিব।

শুক্রবার রাতেই দুজনের দাফন ও একজনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। বাকিদের জানাজা শনিবার সকাল ১০টায় ও বেলা সোয়া ১১টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

আরও খবর