কক্সবাজার জার্নাল ডেস্ক:
ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা ১৯ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের দূর্গম এলাকা চরবালুয়া ক্যাম্পের পুলিশ। বুধবার (২০ জুলাই) গভীর রাতে চরএলাহী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরবালুয়ার ফুলমিয়া চেয়ারম্যান বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬৭নং ক্লাস্টারের মো. ইসহাক (৮০), ছখিনা খাতুন (৬৫), ৮নং ক্লাস্টারের আইয়ুব হাসেম (৩২), ৭৪নং ক্লাস্টারের ফয়েজ উল্লাহ (২২), রহিমা খাতুন (২২), নুর করিম (৩), নূর কায়দা (১), ৫৯নং ক্লাস্টারের জুবায়ের (১৭), শামসু আলম (৩১), খালেদা বেগম (২৮), মো. যুনায়েত (৮), আমেনা বেগম (৬), খালিমা সাহরি (১৮মাস), ৫৮নং ক্লাস্টারের আব্দুল্লাহ মাহমুদ (১৪), মো. আমিন (২২), ৬৯নং ক্লাস্টারের কালিম (২০), রিফা মনি (৪ মাস), ৭৩নং ক্লাস্টারের আরফা বেগম (২১) ও অনি (২)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার রাতে কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী ইউনিয়নের চরবালুয়ার ফুলমিয়া চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন এলাকায় রোহিঙ্গারা ঘোরাফেরা করছিলেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন। পরে রাতেই তাদেরকে স্থানীয় চরবালুয়া পুলিশ ক্যাম্পে সোপর্দ করা হয়।
চরবালুয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রমজান হোসেন বলেন, দালালের মাধ্যমে তারা ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পালিয়ে আসেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদেরকে আবারো ভাসানচরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এর আগে রোববার (১৭ জুলাই) রাত ১২টার দিকে ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা ২০ রোহিঙ্গাকে আটক করে কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী ইউনিয়নের বাসিন্দারা। তাদের গাংচিল ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল হকের তত্ত্বাবধানে সেলিম মাঝির ঘরে রাখা হলে সেখান থেকে উধাও হয়ে যান। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে।
জাগোনিউজ২৪
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-