রফিকুল ইসলাম, উখিয়া •
উখিয়ায় শিশু নির্যাতনের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার রাতে কথিত চুরির অপবাদ দিয়ে ৯ বছরের পিতৃহীন এতিম মাসুদ পারভেজকে শারিরীক বর্বর নির্যাতন করা হয়। জালিয়াপালং ইউনিয়নের নিদানিয়া গ্রামে এ লোমহর্ষক নির্যাতন চালায় স্হানীয় তিন ভাই।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নির্যাতিত শিশুর মা নুর জাহান বেগম জানান, আমার সামনেই আমার অবুঝ শিশুটিকে তিন ভাই মিলে বর্বর নির্যাতন চালায়। শুক্রবার দুপুরে নাকি তাদের দোকানে আমার ছেলে চুরি করে। কিন্তু আমি কিছু জানি না।
শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে রাস্তা থেকে আমার ছেলেকে ওরা কথিত চুরির অপবাদ দিয়ে ধরে নিয়ে বাড়ীতে আটকিয়ে রাখে।
স্হানীয় মৃত ইসলাম মিয়ার স্ত্রী নুর জাহান জানান, স্হানীয় ভুলু মিয়ার তিন ছেলে বাড়ীর একটি কক্ষে আটকে রেখে চড়,থাপ্পড়, লাথি কিল,ঘুষি মেরে শারীরিক নির্যাতন করে। এরপর প্লাস দিয়ে হাতের নখ উপড়ে ফেলে। পরে শিশু বাচ্চাটির শারীরিক অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রত রাস্তায় রেখে পালিয়ে যায় নির্যাতন কারীরা। রাতে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে শিশু মাসুদ পারভেজকে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করায়।
নির্যাতিত শিশু মাসুদের মা গতকাল শনিবার দুপুরে শিশুটিসহ উখিয়া থানার ওসিকে বিষয়টি জানান। শিশুটির শারীরিক অবস্থা দেখে উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী তাৎক্ষণিক নির্যাতনকারীদের আটকের নির্দেশ দেন।
উখিয়া থানার এস আই পলাশ একদল ফোর্সসহ গতকাল বিকেলে অভিযান চালিয়ে নির্যাতনকারী নিদানিয়া গ্রামের ভুলু মিয়ার তিন ছেলে আবছার (৩৫),শহীদ উল্লাহ(২৮) ও মোঃ ইসমাইল (৩০) কে আটক করে বলে জানা যায়।
কিন্তু শিশু নির্যাতনকারীরা স্হানীয়ভাবে প্রভাবশালী ও অর্থের মালিক হওয়ায় অনেককে তাদের পক্ষাবলম্বন করে থানায় তদবির করছে বলে জানা গেছে। নির্যাতিত এতিম শিশুর মা ছাড়া তেমন আর কেউ না থাকায় ওরা অসহায় হয়ে পড়ছে। নির্যাতনকারী ও তাদের পক্ষাবলম্বনকারীদের পক্ষ হতে এব্যাপারে থানায় মামলা না করতে চাপ ও হুমকি দিচ্ছে বলেও জানা যায়।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, মৌখিকভাবে অবগত হয়ে শিশু নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত তিন জনকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, শিশুটি যদিওবা অন্যায় করে থাকে সেক্ষেত্রে স্হানীয় জনপ্রতিনিধি, থানা পুলিশ রয়েছে। কিন্তু তারা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে একটি এতিম শিশুকে করেছে বলে জানা যায়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-