২ ঘণ্টার যুক্তিতর্ক: দাবি আইনজীবীর

প্রদীপ-চুমকি ‘দুর্নীতি’ করেনি!

ডেস্ক রিপোর্ট •

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালত এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। এ সময় প্রদীপ ও চুমকি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

প্রদীপ ও চুমকির আইনজীবী সমীর দাশগুপ্ত বলেন, মঙ্গলবার প্রদীপ কুমার দাশ ও চুমকি কারণের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা আসামিদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে তাদের খালাস চেয়েছি। তবে আমাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়নি। আগামী ১৪ জুলাই যুক্তিতর্কের জন্য ধার্য করেছে আদালত। মঙ্গলবার প্রায় দুই ঘণ্টা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে।

এর আগে, ২০ জুন দুদকের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। সেদিন দুদকের পক্ষ থেকে আদালতের কাছে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা চাওয়া হয়।

স্বামী প্রদীপ কুমার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বয়ে বেড়ালেও অবৈধ সম্পদের অংশীদার চুমকি দীর্ঘদিন ধরেই ছিলেন লাপাত্তা। সন্তানদের নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা এলাকায় ‘লক্ষ্মীকুঞ্জ’ নামে ছয়তলা বাড়িটিতে থাকতেন চুমকি। কিন্তু ২০২০ সালে সিনহা হত্যাকাণ্ডে প্রদীপ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যান তিনি।

এভাবে দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় আত্মগোপনে থাকার পর গত ২৩ মে দুপুরে দুদকের মামলায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন চুমকি। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

২০২০ সালের ২৩ আগস্ট অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদক কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন। পরে গত বছরের ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে তাদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।

একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি হয়। ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার এজাহারে উল্লিখিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয় আদালত। ১৫ ডিসেম্বর এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়।

এর আগে, প্রদীপের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় ২০১৮ সালের জুন মাসে অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রদীপ ও চুমকির নামে অস্বাভাবিক সম্পদের তথ্যও পান দুদক কর্মকর্তারা। এরপর সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য বলা হলে একই বছরের মে মাসে দুদকে বিবরণী জমা দেন তারা।

আরও খবর