উখিয়ায় চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়ায় ভোগান্তিতে স্থানীয়রা

হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া •

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের পাশ ঘেঁষে টিএন্ডটি এলাকার রাস্তাটি ২ বছর ধরে বন্ধ। 📷 হুমায়ুন কবির জুশান।

উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের টিএন্ডটি গুচ্ছগ্রাম এলাকায় জনসাধারণের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়ায় চরম ভোগান্তিতে স্থানীয়রা।

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়া মালেশিয়া হাসপাতাল প্রকাশ করোনা হাসপাতাল সংলগ্ন টিএন্ডটিতে এ পথ বন্ধ রাখা হয়েছে। তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একটি বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করে তাতে যেন রোহিঙ্গা চলাচল করতে না পারে সে জন্য একটি চেকপোস্ট (ঘর) ও ব্যবস্থা করে দেন। এখন উক্ত এলাকায় যাতায়াতের রাস্তাটি ঘেরা দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এই রাস্তা বন্ধ হওয়ায় স্থানীয় এলকাবাসির প্রায় আধা কিলোমিটার পথ হেঁটে যাতায়াত করতে হয়। এতে জরুরী রোগী বহনকারি পরিবহন, স্থানীয় কৃষকদের কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণসহ কবরস্থানে মৃত ব্যাক্তির লাশ দাফন করতে নিয়ে যাওয়াটাও কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে।

এমতাবস্থায় গত ১১-০৪-২০২১ সালে স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির কবির চৌধুরীর উল্লেখিত রাস্তাটি খোলে দেয়ার জন্যে সুপারিশসহ একটি দরখাস্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত দেয়া হলেও অদ্যবধি কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এখন চেকপোস্ট নেই, কিন্তু রাস্তাটি বন্ধ।

স্থানীয় এলাকাবাসি জনস্বার্থে শত শত মানুষের নিত্য চলাচলের রাস্তাটি খোলে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জোর দাবি জানিয়েছেন। এ সমস্যা নিরসনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

এতে মালেশিয়ান ফিল্ড হাসপাতাল এবং রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল করোনা হাসপাতাল সংলগ্ন উত্তরপাশে বন্ধ রাখা পথটি খোলে দেয়া হলে স্খুল কলেজগামি ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি রোগী ও সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে।

ভুক্তভোগী মৌলানা রফিকক আহমদ হাসেমী বলেন, পথটি বন্ধ করে দেয়ায় খুব কস্ট হচ্ছে। আমরা যে কী মানবেতর জীবন-যাপন করছি তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। হয়তো রোহিঙ্গারা গ্রামীণ পথ দিয়ে যেতে না পারে সেই চিন্তা থেকে পথটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সেনাবাহিনীর চেকপোস্টটিও এখন আর নেই। তাহলে এতদিন কেন এই জনগুরুত্বপূর্ণ পথটি বন্ধ রাখা হয়েছে।

উখিয়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী শাহেদা আক্তার বলেন, পথটি বন্ধ থাকায় আধা কিলোমিটার হেঁটে রাস্তায় আসতে হয়। তাতে আমাদের সময়ের অপচয় হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষক শফিকুর রহমান বলেন, কৃষিপণ্য বাজারজাত সহজ করতে এই পথটি খোলে দেয়া খুবই প্রয়োজন।

ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম বলেন, প্রসুতি মায়েদের নিরাপদে হাসপাতালে সেবা নিতে যেতে হলে এই পথটি কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের লাগোয়া হওয়ায় যাতায়াতের খুবই সহজ ছিল। পথটি বন্ধ হওয়াতে আমাদের জন্যে খুব কস্ট হচ্ছে।

মনিন্দদ্র ও সজিব বড়ুয়া বলেন, ১৫০ পরিবারের দুই হাজার মানুষের চলাচলের এই রাস্তাটি গত ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে বন্ধ করে রাখা হয়।

দুই বছর পার হয়ে গেলেও রাস্তাটি খুলে দেয়া হয়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাস্তাটি খোলার অনুমতি পেলে আমরা স্থানীয়রা মিলে খুলে ফেলতাম। আমরা শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসি এ ব্যাপারে প্রশাসনের অনুমতি ও সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

আরও খবর