চকরিয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় আমির হোসেন নামের ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার দুপুরে নিহত আমির হোছনের স্ত্রী ছকিনা ইয়াছিন বাদী হয়ে ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদরকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। হত্যার ৪৮ ঘন্টা পার হলেও থানা পুলিশ হত্যাকান্ডে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
এদিকে আমির হোছনকে নৃশংসভাবে হত্যার বিচার চেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন।
নিহত আমির হোসেনের ভাগিনা নুরুল ইসলাম জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে স্থানীয় বনদস্যু আবদুর রহমান ও সালাহউদ্দিন তার মামা আমির হোসেনকে বিচারের কথা বলে ফোন করে ডুমখালী খেলার মাঠে ডেকে নিয়ে যায়। খেলার মাঠে পৌঁছে মোটরসাইকেল থেকে নামামাত্রই সন্ত্রাসী আবদুর রহমান ও সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে ধারালো কিরিছ দিয়ে কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে আমির হোসেন মাটিতে পড়ে যায়। প্রাণ বাঁচাতে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করলে পেছন থেকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
এদিকে মঙ্গলবার (২৪ মে) বিকেলে নিহতের বাড়ির উঠোনে বিক্ষোভকালে আমির হোসেনের বড় ভাই আহমদ হোসেন বলেন, সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে তার ভাই আমির হোসেন বর্তমান চেয়ারম্যানের পক্ষে নির্বাচন করেনি। এতে ক্ষিপ্ত হয় চেয়ারম্যানের লোকজন। এরপর থেকে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিলো আমির হোসেনকে। চেয়ারম্যানের সহযোগি আবদুর রহমান আমির হোসেনকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
নিহতের স্ত্রী ছখিনা ইয়াছমিন বলেন, তার স্বামী একজন নিরাপরাধ লোক। ভোগ দখলীয় জমি জবর দখল ও সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন কেন্দ্র করে তার স্বামী আমির হোসেনকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করেছে বলে দাবী করেন। তিনি প্রশাসনের কাছে স্বামী হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, আমির হোসেনের স্ত্রী একটি এজাহার দিয়েছে। মামলার বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খুনিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: তফিকুল আলম বলেন, ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। ঘটনায় জড়িত যেই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-