বিশেষ প্রতিবেদক •
আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির করা আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর ফলে ১৫ বছর আগে করা মামলাটির কার্যক্রম যথারীতি চলবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্ট মামলাটি এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন।
ওই মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে বিচারিক আদালতে আবেদন করে গত ১৮ এপ্রিল বিফল হন আবদুর রহমান বদি। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি, যা রোববার খারিজ হলো। আদালতে আবদুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রফিকুল ইসলাম সোহেল। দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন শুনানিতে ছিলেন।
জ্ঞাত–আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে ৫৬ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৭৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৭ টাকা জ্ঞাত–আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ২৪ জুন ওই মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
বদির আইনজীবী রফিকুল ইসলাম সোহেল বলেন, ২০১৪ সালে বদির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছিল দুদক। যাবতীয় সম্পদ নিয়ে করা ওই মামলার রায়ে বিচারিক আদালত ২০১৬ সালে আবদুর রহমান বদিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। আর ২০০৭ সালে সম্পদ বিবরণী নিয়ে মামলাটি হয়। সাজা দেওয়া ব্যক্তিকে তাঁর সম্পদের জন্য দ্বিতীয়বার বিচারের মুখোমুখি করার বৈধতা নিয়েই ওই আবেদন করেছিলেন বদি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-