হুমায়ুন কবির জুশান,উখিয়া •
উখিয়া প্রেস ক্লাবের পাশে ময়লার ভাগাড়। দুর্গন্ধে হাটা যায় না। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে গেলেও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দু, একটি এনজিওর মাধ্যমে বাসা-বাড়ি ও ড্রেনের ময়লা নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখলেও কি কারণে প্রেস ক্লাবের পাশের ময়লা পরিস্কার করা হচ্ছে না তা বোধগম্য নয় এলাকাবাসির।
স্থানীয় মালভিটা পাড়া এলাকার মাষ্টার রফিক বলেন, উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শত শত ছাত্র-ছাত্রী এই রাস্তা দিয়ে হেটে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করে থাকে। দুর্গন্ধে হাটা যায় না।
এহেন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে যারা ময়লা ফেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। পাশাপাশি ময়লা পরিস্কার করে নির্মল বাতাস পেতে সকলের এগিয়ে আসা উচিত। এই ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী আয়েশা ও রাবেয়া বলেন, আমাদের প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া-আসার সময় নাকে রুমাল দিয়ে হাটতে হয়। দুর্গন্ধে হাটা চলা করা দুস্কর।
উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র তাহমিদ ও তামজিদ কবির বলেন, আমরা সুন্দর পরিবেশ চাই। উখিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ময়লা আবর্জনা। এগুলো দেখার কি কেউ নেই। কেউ আমাদের কথা ভাবে না। এখানে উখিয়াতে শিশুদের জন্য বিনোদনের কোন ব্যবস্থা নেই। আপনারা সাংবাদিক আমাদের পক্ষ হয়ে শিশুদের জন্যে লিখিয়েন। আমরা নির্মল ও পরিচ্ছন্ন উখিয়া দেখতে চাই।
উখিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাঈদ মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশলির সাথে কথা হয়েছে তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন। কিন্তু অনেক দিন হয়ে গেলেও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এলাকাবাসির পাশাপাশি সাংবাদিকদের ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এটি পরিস্কার হলে হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিন দিয়ে এটি ঘিরে রাখতে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা করবেন বলেও কথা দিয়েছেন।
পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহবায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, সব কিছু অপরিকল্পিত হওয়ায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে। আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে ময়লা পরিস্কার করা না হলে সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশলি আল আমিন জানান, কয়েক দিনের মধ্যে এটি পরিস্কারের সময় সাংবাদিকদের সাথে রাখা হবে। আমরা সকলে মিলে উখিয়াকে সুন্দর রাখতে চাই।
উখিয়া সদর দারোগা বাজারের ব্যবসায়ী নুর আহমদ বলেন, দারোগা বাজারের ড্রেন ভরাট হয়ে আছে। এখন পরিস্কার করা না হলে বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে দারোগা বাজারসহ পুরো এলাকা প্লাবিত হবে। দোকান পাট ও বাড়ি –ঘরে ময়লার পানি ঢুকে পড়বে। তখন কষ্টের সীমা থাকবে না। তাই সময় থাকতে ড্রেন পরিস্কার করতে হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-