ডেস্ক রিপোর্ট :
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার সুযোগ বন্ধ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যেতে বাধা দেওয়ার যে খবর প্রকাশ হয়েছে তা মিথ্যা।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক/রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার সুযোগের ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষকদের সম্পৃক্ততা গতিশীল করে এবং রোহিঙ্গাদের দক্ষতা বৃদ্ধির নীতি গ্রহণের মাধ্যমে ধীরে ধীরে মিয়ানমার কারিকুলামের আওতায় শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করছে।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার সবার জন্য, বিশেষত নারী শিক্ষা নিশ্চিত করাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে এবং একইভাবে রোহিঙ্গা শিবিরে শিশুদের জন্যও শিক্ষার সুযোগ অবারিত রেখেছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, বাংলাদের সরকার শিবিরগুলোতে প্রায় ৫ হাজার ৬১৭টি শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এডুকেশন সেক্টর অপারেশনস বা ইউনিসেফ কেউই এই শিক্ষা সুযোগ বন্ধের ব্যাপারে কোনো ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের দ্রুত, টেকসইভাবে ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহযোগিতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রশংসা করছে।
বাংলাদেশ মিয়ানমার কারিকুলামের আওতায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা প্রদানের বিষয়টিকে এই শিশুদের গঠনমূলক ও দক্ষতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করছে- যা তাদের শিগগির স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনে উৎসাহ দেবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-