মিজানুর রহমান •
সাগর তীরের মিষ্টি হাওয়া গায়ে মেখে প্রিয়জনের হাত ধরে হাঁটতে কিংবা সবুজ পাহাড় চিরে একেবেঁকে চলা পথে প্রকৃতির সঙ্গে হারিয়ে যেতে কার না ইচ্ছা হয়! তবে কেবল ইচ্ছা বা সামর্থ্য নয়- এ জন্য প্রয়োজন সময় এবং অনুকূল পরিবেশেরও।
ঈদের লম্বা ছুটি ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের সেই সুযোগ এনে দেয়। সাগর কিংবা পাহাড়ে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন অনেকে। ঈদের ছুটিতে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজারে এবার ১ লাখ পর্যটকের সমাগম হবে। হোটেল-মোটেলগুলোর মোট কক্ষের পঞ্চাশ শতাংশ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। প্রতিদিন বুকিংয়ের হার বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
শুধু হোটেল-মোটেল মালিকরা নন- বিপুল সংখ্যক পর্যটককে বরণ করতে প্রস্তুতি নিয়েছেন শহরের অন্য ব্যবসায়ীরাও। ব্যবসায়ীদের আশা- করোনার কারণে দুই বছর প্রায় ‘নিষ্প্রাণ’ হয়ে থাকা কক্সবাজারের পর্যটন খাত এবার ঈদে প্রাণ ফিরে পাবে। ক্ষতি কাটিয়ে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে নেওয়া যাবে। পর্যটকরাও এবার নতুন কক্সবাজার দেখার সুযোগ পাবেন। পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি মাঠে থাকবেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও।
কক্সবাজারের পর সবচেয় বেশি মানুষ ভিড় করেন সাজেক, কাপ্তাই হ্রদের শহর রাঙামাটিতে। এখানকার হোটেল-রিসোর্টগুলোর প্রায় আশি শতাংশ আগাম বুকিং শেষ। এর পাশাপাশি লেকে ভ্রমণের বোট, সাজেক যাওয়ার গাড়িও অগ্রিম বুকিং করে ফেলেছেন অনেক পর্যটক। হ্রদ আর পাহাড়ের উপর ভর করে ঈদে নতুন স্বপ্ন দেখছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।
পাহাড়ে ঘেরা দুই জেলা খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবানও পর্যটকদের বরণে প্রস্তুতি শেষ করেছে। পাহাড়ের সবুজ প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটাতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় স্থানীয় প্রশাসনও নানা উদ্যোগ নিয়েছে। খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবানের হোটেল-রিসোর্টের প্রায় অর্ধেক আগাম বুকিং হয়ে গেছে।
দুই জেলার পরিবহনখাতও পর্যটকদের বরণে প্রস্তুতি শেষ করেছে। দূরে কোথাও যারা যেতে পারেন না- তাদের জন্য পায়ের কাছেই ঘোরাঘুরির জায়গা নগরীর বিনোদনকেন্দ্রগুলো।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, ফয়’স লেক, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, স্বাধীনতা কমপ্লেক্স, কাজীর দেউড়ি শিশু পার্কসহ শহরের বিনোদনকেন্দ্রগুলো সেজেছে নতুন রূপে। এসব বিনোদনকেন্দ্রে ১ লাখের বেশি মানুষ এবার ভিড় করবেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-