মাছ শিকারের আড়ালে ইয়াবা কারবার: ফিশিং ট্রলার মিললো লক্ষাধিক ইয়াবা, আটক-৭

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল •

বাংলাদেশ-মিয়ানমার জলসীমার আওতাধীন গভীর সাগরে মাদক কারবারে জড়িত অপরাধীরা মাছ শিকার করার আড়ালে সু-কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক পাচার।

এদিকে মাদক পাচার প্রতিরোধে জলে ও স্থলে দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তারই ধারাবাহিকতায় টেকনাফের উপকুলীয় ইউনিয়ন সেন্টমার্টিন দ্বীপ-সংলগ্ন সাগরে অভিযান পরিচালনা করে একটি ফিশিং ট্রলার থেকে ১ লাখ দুই হাজার ইয়াবার চালানসহ ৭ পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে কোস্টগার্ড।

২৫ এপ্রিল (সোমবার) সকাল ১১টার দিকে সেন্টমার্টিনে কর্মরত কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লেফট্যানেন্ট রাইয়ান আলমের নেতৃত্বে এ অভিযানটি পরিচালনা করে।

আটক ৭ পাচারকারী হচ্ছে, টেকনাফ মোচনী ক্যাম্পের কালা মিয়ার পুত্র হামিদ হোসেন (৪২), একই ক্যাম্পের আব্দুস সালাম’র পুত্র হোসেন জোহার (১৮), লুকমান হাকিম’র পুত্র জোবায়ের (২২), জাকারিয়ার পুত্র লাল মোহাম্মদ (২৫),
আব্দুর রহমান’র পুত্র ইয়াছিন (১৯), টেকনাফ পৌরসভা নাইটংপাড়ার বাসিন্দা লাল মিয়ার পুত্র বশির আহমদ (৪৫), আব্দুর রশিদ’র পুত্র আলম (২০)।

অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট কমান্ডার লাবিব উসামা আহমাদুল্লাহ জানান, মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা ইয়াবার একটি চালান বাংলাদেশ উপকুলে প্রবেশ করবে।

উক্ত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী সেন্টমার্টিন-সংলগ্ন সাগরে অভিযান পরিচালনা করে স্বন্দেহ জনক একটি ফিশিং ট্রলারে তল্লাশী চালিয়ে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা বস্তাভর্তী ১লাখ, ২ হাজার ইয়াবা উদ্ধার ও ৭ পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও জানান,মাদক বহনের দায়ে ট্রলারটিও জব্দ করা হয়েছে।

আটক ৭ ইয়াবা পাচারকারীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করার জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরও খবর