সুইডেনে কোরআন পোড়ানোয় বিক্ষোভ, ইরান-ইরাকের প্রতিবাদ

ডেস্ক রিপোর্টঃ উগ্র ডান-পন্থী, অভিবাসন বিরোধী গ্রুপ দ্বারা কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় সুইডেনের বেশ কয়েকটি শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, রবিবার দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর নরকোপিনে পুলিশ দাঙ্গাকারীদের সতর্ক করতে গুলি চালালে তাতে তিনজন আহত হয়। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

শনিবার, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মালমোতে উগ্র ডান-পন্থী সমাবেশ চলাকালে একটি বাস সহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এর আগে ইরান এবং ইরাকের সরকার সুইডিশ রাষ্ট্রদূতদের তলব করে কুরআন পোড়ানোর প্রতিবাদ জানায়।

‘স্ট্রাম কুর্স’ বা ‘হার্ড লাইন’ নামের ওই আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ডেনিশ-সুইডিশ চরমপন্থী রাসমুস পালুদান বলেছেন, তিনি ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র বইটি পুড়িয়ে দিয়েছেন এবং এটা তিনি আবারো করবেন।

বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার এই তিনদিনে গ্রুপটির পরিকল্পিত সমাবেশস্থলগুলো থেকে অন্তত ১৬ জন পুলিশকে আহত করা হয়৷ পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়৷ ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, রবিবারও পালুদান নরকোপিনে আরেকটি সমাবেশ করার হুমকি দিয়েছিলেন।

সুইডিশ পুলিশ বলছে, আমরা আগেও সহিংস দাঙ্গা মোকাবিলা করেছি। তবে, এবারেরটা ব্যতিক্রম।

সুইডেনে স্ট্রাম কুর্সের কোরআন পোড়ানোর পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ এর আগেও ধ্বংসাত্মক রূপ নিয়েছে। ২০২০ সালে মালমোতে হওয়া সংঘর্ষে বিক্ষোভকারীরা গাড়িতে আগুন দেয় এবং দোকানপাট ভাংচুর করে।

২০২০ সালে ডেনমার্কে বর্ণবাদ সহ নানাবিধ অপরাধের জন্য পালুদানকে এক মাসের জন্য জেলে পাঠানো হয়েছিল। তিনি ফ্রান্স এবং বেলজিয়াম সহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোতেও একইভাবে কুরআন পোড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন।

সুত্রঃ মানবজমিন

আরও খবর