কক্সবাজারে জনপ্রতি সর্বনিম্ম ফিতরা ৭৫ টাকা

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার জেলায় জনপ্রতি ফিতরা সর্বনিম্ম ৭৫ টাকা। কক্সবাজার ইমাম পরিষদ ও জাতীয় ইমাম সমিতির যৌথ উদ্যোগে ফিতারা নির্ধারনে আয়োজিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজার ইমাম পরিষদ এর প্রতিনিধি ও লালদীঘির পশ্চিম পাড় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ ইউনুস ফরাজি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার ১৪ এপ্রিল সাকালে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব, বরণ্য আলেমেদ্বীন অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হক এর সভাপতিত্বে কক্সবাজার শহরের বড়বাজার জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত সভায় লালদীঘির পশ্চিম পাড় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ ইউনুস ফরাজি, বড়বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা কামাল উদ্দিন, বাহারছরা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শফিউল আলম, টেকপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোজাম্মেল হক, কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবদুল কাইয়ুম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় কক্সবাজারের বাজার দর যাচাই-বাছাই করে প্রতি কেজি আটার দাম ৪৫ টাকা বাজার দর ধরে ১৬৫০ গ্রাম আটার মূল্য হিসাবে জনপ্রতি সর্বনিম্ম ফিতরা ৭৫ টাকা নির্ধারন করা হয়।

এছাড়া প্রতি কেজি খেজুরের ৩০০ টাকা বাজার দর ধরে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম খেজুরের মূল্য হিসাবে ১ হাজার টাকা দ্বিতীয় পর্যায়ের ফিতরা নির্ধারন করা হয়। একইভাবে প্রতি কেজি কিসমিস এর ৩৬০ টাকা বাজার দর ধরে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস এর মূল্য হিসাবে ১ হাজার ২ শত টাকা সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফিতরা নির্ধারন করা হয়।

সভায় আর্থিক সামর্থ অনুযায়ী ঈদুল ফিতরের নামাজের আগে ফিতরা আদায় করার জন্য সকল মুসলমান ভাইদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। সভায় বলা হয়, কক্সবাজার অঞ্চলে ৩ স্থরের মূল্যমানের ফিতরার যে কোন একটি মূল্যে ফিতরা আদায় করলে ফিতরা আদায় হয়ে যাবে। জনপ্রতি সর্বনিম্ম ৭৫ টাকা ফিতরা দিলেও ফিতরা আদায় হয়ে যাবে। তবে সামর্থ থাকলে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফিতরা আদায় করা উত্তম বলে সভায় মত প্রকাশ করা হয়।

আরও খবর