বর্তমান বাংলাদেশের বিকাশ সম্পর্কে জানেনা এমন লোক পাওয়া মুশকিল। বিকাশের মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই একই স্থান থেকে অন্য স্থানে এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে টাকা পাঠাতে পারি।
মোবাইল ব্যাংকিং গুলো জনপ্রিয় হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে, এই ব্যাংকিং ব্যবহার করতে গেলে শুধুমাত্র আমাদের পার্সোনাল মোবাইল নম্বর ও জাতীয় পরিচয় পত্র থাকলেই হয়। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং গুলোর এজেন্ট আমাদের প্রতিটি এলাকার গলিতে গলিতে আছে। যার ফলে আমরা খুব সহজেই টাকা পেয়ে যাই।
মোবাইল ব্যাংকিং এর সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো ভুল নাম্বারে টাকা চলে যাওয়া। এটা সবচেয়ে বেশি ঘটে থাকে বিকাশের ক্ষেত্রে। কারণ বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিংয়ে বিকাশের ইউজার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তাহলে চলুন ভুল নাম্বারে টাকা গেলে করণীয় গুলো জেনে নেই..
• বিকাশে ভুল নাম্বারে টাকা গেলে করণীয়:
১. টাকা পাঠানো ক্যানসেল করুন: আপনি যদি বিকাশ নেই এমন কোন নম্বরে টাকা পাঠান, সেক্ষেত্রে বিকাশ এপস এর মধ্যে “সেন্ড মানি” অপশনে গিয়ে সেই টাকা পাঠানো ক্যানসেল করতে পারবেন।
আর যদি এই অপশন না থাকে, সেক্ষেত্রে বুঝবেন আপনি যেই নাম্বারে টাকা পাঠিয়েছেন সেই নাম্বারে বিকাশ খোলা হয়েছে।
২. ফোন করে জানাবেন না: অনেকেই একটা ভুল করেন, আপনি যেই নাম্বারে ভুল করে টাকা পাঠিয়েছেন, সেই নাম্বারের ব্যক্তিকে কখনোই ফোন করবেন না।
কারণ সে যদি টাকা উঠিয়ে ফেলে তাহলে আপনার টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে। তবে আপনার পরিচিত নাম্বার হলে মোবাইল করে জানাতে পারেন।
৩. কাস্টমার কেয়ারের সাথে কথা বলুন: আপনি যেই নম্বরে ভুলে টাকা পাঠিয়েছেন, সেই ব্যক্তিকে ফোন না করে, আপনি যত দ্রুত সম্ভব বিকাশের কাস্টমার কেয়ার এর সাথে লাইভ চ্যাট বা কলে কথা বলে নিন। অথবা আপনার নিকটস্থ কোনো কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে যোগাযোগ করুন।
কাস্টমার কেয়ারে হয়তো আপনার থেকে কিছু ভেরিফিকেশন (যেমন: জাতীয় পরিচয় পত্র, পাঠানো টাকার পরিমান, বর্তমান একাউন্টের ব্যালেন্স ইত্যাদি) চাইবে সেগুলো সঠিক ভাবে দিবেন। এছাড়া যার জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে একাউন্টটি খোলা, তাকে অবশ্যই সাথে নিয়ে যাবেন। তাকে সাথে না নিয়ে গেলে কিন্তু বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে আপনাকে সাহায্য নাও করতে পারে।
৪. থানায় জিডি করুন: আপনি যদি কাউকে ভুলে বেশি টাকা পাঠিয়ে দেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই থানায় গিয়ে একটি জিডি করে আসবেন। তারপরে সেই জিডির একটি কপি আপনি বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে নিয়ে যাবেন। বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে নিয়ে গেলে তারা আপনার টাকা আপনার একাউন্টে ফিরিয়ে দিবে। আপনি যে একাউন্টে ভুলে টাকা পাঠিয়েছেন, সে একাউন্টে যদি টাকা থাকে।
তবে মনে রাখবেন যাকে ভুলে টাকা পাঠিয়েছেন তাকে কখনো কল দিবেন না। কারণ সে যদি আপনার টাকা তার অ্যাকাউন্ট থেকে উঠিয়ে ফেলে, তাহলে আপনার টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের অনেক কাজে আসবে। আজকের এই পোস্টের তথ্যগুলো আপনি যেকোন মোবাইল ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রেই কাজে লাগাতে পারবেন। মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সচেতন হবেন। তাহলে আর এই ধরনের সমস্যায় পড়বেন না।
মনে রাখবেন, বিকাশ থেকে বা যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং এ আপনার থেকে কখনোই পিন নম্বর জানতে চাইবে না। কারণ আপনার একাউন্টে ব্যবহারকৃত পিন নম্বরটি তাদের ডাটাবেজে সেইভ আছে। তারা চাইলেই সেটা দেখতে পারে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-