চকরিয়ায় লঙ্ঘিত হচ্ছে নির্বাচনী আচরণবিধি

মোঃ নিজাম উদ্দিন, (চকরিয়া) কক্সবাজার:


২৬ ডিসেম্বর ২০২১ চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রতিক বরাদ্দের পর থেকে প্রচার-প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা।

নির্বাচন কমিশনের জারি করা পরিপত্র-৪ অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারের সময় দুপুর ২টার আগে এবং রাত ৮টার পর মাইক বা উচ্চ শব্দ হয় এমন যন্ত্র বন্ধ করার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু কিছুতেই তা মানছে না সর্বাধিক সংখ্যক প্রার্থী। হাট-বাজার ও জনবহুল এলাকায় চালানো পথসভায় ব্যবহার করা হচ্ছে একধরনের বিরক্তিকর হাইড্রলিক বাঁশি। অপরদিকে এসব প্রচারণা সকাল ১১টা থেকে রাত ৯-১০টা পর্যন্ত মাইকে সুউচ্চ শব্দে গানবাজনা চালানো হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়- ফাঁসিয়াখালী, খুটাখালী ও ডুলাহাজারা সহ প্রায় ৮ ইউনিয়নের বাজার সমূহে একযোগে ৫-৬টি মাইক নিয়ে চলে মেম্বার চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রচারণা। গভীর রাত পর্যন্ত চলে এসব কার্যক্রম। এতে ব্যবহার করা মাইকের বিকট শব্দে অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

অপরদিকে এখন চলমান রয়েছে এইচএসসি, আলিম পরীক্ষা ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে চলছে সমাপনী পরীক্ষা। সুউচ্চ শব্দের কারণে পরিক্ষার্থী কোমলমতি শিশুসহ ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনায় সীমাহীন বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়া বিকট ও বিরক্তিকর শব্দে বয়ষ্কসহ অসুস্থ রোগীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বাজার ব্যবসায়ীসহ ক্রেতা-বিক্রেতা ও গ্রাম মহল্লায় বিরুপ প্রতিক্রিয়ার অভিমত প্রকাশ করছে।

এছাড়া চেয়ারম্যান মেম্বার প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করে দেয়াল ও গাছে পোষ্টার লাগিয়ে যাচ্ছে। যা নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের সুস্পষ্ট দৃষ্টান্ত। এসব ঘটনা নিয়ে সাধারণ জনগণের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অথচ নির্বাচন কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোন পদক্ষেপ নেই বলে একাধিক ব্যক্তি জানান। ইউড্রোলিক বাঁশির বিরক্তিকর শব্দে চরমভাবে অতিষ্ট হচ্ছে বলে বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণ অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, কোথাও নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। এছাড়া কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তাও প্রশাসনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর