কক্সবাজার প্রতিনিধি :
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজায় দুই বন্ধুর হাতে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বুধবার (১ ডিসেম্বর) ঝিলংজা মহুরিপাড়াস্থ কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন (উড়নি) এলাকায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) কক্সবাজার সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ধর্ষিতার মা।
ধর্ষণের শিকার পরী (ছন্দনাম) বলেন, গত বুধবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মহুরিপড়া (উড়নি নামক স্থানে) জনৈক ফরিদের দোকানে নাস্তার জন্য গেলে স্থানীয় সিরাজের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ (২০) এবং কোনাপাড়া এলাকার মৃত আবুল হোসনের ছেলে ইমরান (১৯) তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। একটি ভাঙ্গা ঘরে হাত,পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে ধর্ষণ করে। আমার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষক পালিয়ে যায়।
ধর্ষিতার ‘মা’ বলেন, অজ্ঞান অবস্থায় লোকজনের সহযোগিতায় আমার মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
তিনি বলেন, আমার স্বামী পাগল। আমি ও আমার দুই মেয়ে প্রতিবন্দ্বী। ভিক্ষা করে কোন রকমে সংসার চালিয়ে আসছি। এখন কার কাছে বিচার চাইবো জানা নেই!
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১ ডিসেম্বর ‘পরী’ হাসপাতালের ‘ইওসি’ বিভাগের গাইনি ওয়ার্ডে জি-১২ শয্যায় ভর্তি ছিলেন। ২ ডিসেম্বর তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। হাসপাতালের ছাড়পত্রে শিশুটি ‘সেক্সুয়াল এসল্ট’ হওয়ায় সেবা নিয়েছেন বলে উল্লেখ রয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্তরাই সত্যতা স্বীকার করেছেন। একই সাথে মামলা না করে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার জন্য তদবির করছেন।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে বলেন, ধর্ষণের একটি অভিযোগ পেয়েছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-