এ কে এম ইকবাল ফারুক,চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে হাতি হত্যা করে মাটিতে পঁুতে রাখার ঘটনায় দায়ের করা মামলার দুই নম্বর আসামী জানে আলম (৩৫) হাতির আক্রমনের শিকার হয়েই মারা গেছেন।
নিহত জানে আলম হারবাং ইউনিয়নের মসজিদ মোড়া এলাকার শামসুল আলমের ছেলে।
শনিবার রাতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনভিাগের চুনতি রেঞ্জের অধিন হারবাং বনবিটের অধিন সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকায় ধান পাহারা দেয়ার সময় বন্যহাতির পালের আক্রমনের শিকার হয়ে তিনি মারা যান।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর রাতে ধান পাহারা দিতে গিয়ে একইভাবে বন্যহাতির আক্রমণের শিকার হয়ে মারা যান মনজুল আলম (৫৩)। মারা যাওয়া জানে আলম ও মনজুর আলম সম্পর্কে শ্বশুড়-জামাই। হারবাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, শনিবার রাতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনভিাগের চুনতি রেঞ্জের অধিন হারবাং বনবিটের অধিন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মসজিদ মোড়া এলাকায় পাকা ধান ক্ষেতে পাহারা দিতে যায় জানে আলম (৩৫)। রাতের কোন এক সময় বন্যহাতির পালের আক্রমনের শিকার হয়ে মারা যান তিনি।
পরদিন গতকাল রবিবার সকালে জঙ্গল থেকে নিহত জানে আলমের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে শ্বশুর-জামাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় লোকজন হাতির আক্রমণ থেকে তাদের জান-মাল রক্ষায় বনবিভাগ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
প্রসঙ্গত: গত ১৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনভিাগের চুনতি রেঞ্জের অধিন হারবাং বনবিটের অধিন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ছড়াখোলা এলাকা থেকে মাটি চাপা অবস্থায় একটি মৃত হাতি উদ্ধার করে বনবিভাগের লোকজন। ওই সময় ধারণা করা হয় কে বা কারা বিদ্যুতের তারে জাড়িয়ে হাতিটিকে হত্যার পর মাটির নীচে পুতে রাখেন।
পরে চকরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ র্কমর্কতা ডা. সুপন নন্দী ও ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের সহকারী ভেটেরেনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান হাতিটির ময়না তদন্ত করেন। এ ঘটনায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলার এজাহার নামীয় দুই নম্বর আসামী ছিলেন জানে আলম।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-