চকরিয়া-পেকুয়ার ১৬ ইউপিতে শুরু হয়েছে ভোটযুদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক •

শুরু হয়েছে তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটযুদ্ধ। এই নির্বাচনে কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ার ১৬টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

নির্বাচন সুষ্টু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সবধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাচন অফিস। নির্বাচন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠে নেমেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশ্বাস দিলেও আশ্বস্ত হতে পারছেননা ভোটাররা।

২৮ নভেম্বর রবিবার অনুষ্টিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চকরিয়া ও পেকুয়া চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ১২১ প্রার্থী। সাধারণ সদস্য পদে ৬’শ ৪২জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ২’শ ৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বদ্ধীতা করছেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম এবং পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, দুই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের ১৪৫ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্টিত হবে। এর মধ্যে চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল, লক্ষ্যারচর এবং পেকুয়া সদর ইউনিয়নে ইভিএম’এ ভোট অনুষ্টিত হবে।

নির্বাচন অবাধ, সুষ্টু ও নিরপেক্ষ করতে দুই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে ৩৬জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৬জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি র‌্যাব- বিজিবি-পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এরমধ্যে র‌্যাব-১৫ স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

র‌্যাব-১৫’র সিইও লে.কর্ণেল খাইরুল ইসলাম বলেন, চকরিয়া-পেকুয়ার ১৬ ইউপি নির্বাচন অবাধ, সুষ্টু ও নিরপেক্ষ করতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। নির্বাচনে র‌্যাব মুলত স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। যেখানেই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে সেখানেই দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে র‌্যাব-১৫।

তিনি আরো বলেন, কেউ যদি নির্বাচনে সহিংসতা করার চেষ্টা করে তাহলে র‌্যাবও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। এখানে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। যারা নির্বাচনে সহিংসতার চিন্তা করছেন তাদের এসব চিন্তা ছেড়ে দেয়ার হুশিয়ারীও দেন তিনি।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ ও পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্টু ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে কাজ শুরু করেছে।

তারা আরও বলেন, ভোটারদের আতংকিত হওয়ার কোন কারণে নেই। নির্বাচন শতভাগ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্টিত হবে। ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নিবিঘেœ ভোট প্রদান করতে পারবে।

আরও খবর