ডেস্ক রিপোর্ট :
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় কারা নামের অনুমোদনহীন একটি এনজিওর তিনজন কর্মকর্তাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করছে কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসন।
আটককৃতরা হলেন, প্রজেক্ট ডিরেক্টর আক্তার আহমদ, এরিয়া ম্যানিজার গোলাম রহমান এবং ম্যানেজার জামশেদ। উপজেলার ধুরুং স্কুল এন্ড কলেজে অনুমোদনহীন নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার সময় তাদের আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ও মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে নিয়োগ পরীক্ষার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার পায়তারা করছিল ‘কারা’ নামের এই এনজিও। উপজেলার ধুরুং বাজার এলাকায় অফিস নিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন ফি বলে টাকা আদায় করছিল এনজিওটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাকরি প্রত্যাশী এক প্রার্থী জানান, কারা নামের এনজিওটি নিয়োগ পরীক্ষার নামে ফরম পূরণ বাবদ তার কাছ থেকে প্রথমে ২০০ টাকা পরে আবার ১০০ নিয়েছে। তারমত আরও একাধিক প্রার্থী জানিয়েছেন চাকরির আশায় টাকা দিয়ে আবেদন পত্র কিনে পরীক্ষা দিতে এসছিলেন তারা।
এ ব্যাপারে কারা এনজিওর প্রজেক্ট ডাইরেক্টর আকতার হোছাইন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে কাজ করতে এনজিও ব্যুরোর অনুমতি লাগে না। সিভিল সার্জনের অনুমতি নিয়ে দেশের ১৪টি জেলায় কাজ করছে ‘কারা’ এনজিও। কুতুবদিয়ায় উপজেলায় ফাইল মিস্টেক এর কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। তাই সমস্যা হয়েছে। যে কারণে প্রার্থীদের টাকা ও আবেদন ফাইলগুলো একজনের জিম্মায় রাখা হয়েছে
কাগজপত্র ঠিক করে উপজেলা প্রশাসনের সাথে বসে নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা কথা জানান তিুনি।
এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওমর হায়দার বলেন, ‘কারা’ নামের ভুয়া এনজিওটির বৈধ কোন কাগজপত্র না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৫ হাজার টাক জরিমানা করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে এবং যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া ভুক্তভোুগী প্রার্থীদের টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরের জামান চৌধুরীকে একাধিক বার ফোন করেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-